Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

প্রশ্ন : মেয়েদের নাক বা কান ফোঁড়ানো সম্পর্কে ইসলামী বিধান কি?

| প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

উত্তর : নাক কান ফোঁড়ানো বা না ফোঁড়ানো মেয়েদের বেলা সমান। উভয়টিই জায়েজ, তবে ফোঁড়ানো হলে অলংকার পরা উত্তম। কেননা, অপবিত্র শরীর পবিত্র করার সময় নাক কানের অলংকারের ছিদ্রেও পানি পৌঁছানো জরুরী। আর তা অলংকার নেড়েচেড়েই পৌঁছাতে হয়। অলংকার ছাড়া ছিদ্রে কিছুতেই পানি পৌঁছানো যায় না। অগত্যা অনেকে চিকন শলা বা কাঠি দিয়ে রাখেন। তবে, যেসব নারী ঋতুমুক্ত হয়ে গিয়েছেন বা যাদের স্বামী নেই, অর্থাৎ বড় নাপাকী তাদের হয় না, এসব নারীর জন্য নাক কানের বর্ণিত ছিদ্রে পানি পৌছানোর ক্ষেত্রে কিছু শিধিলতা আছে। তবে, অজুর ক্ষেত্রেও নাকের ছিদ্রে পানি পৌঁছাতে হয়। এসব ভেবে অনেকে মনে করেন, নাক কান না ফোঁড়ানোই উত্তম। তবে, শরীয়ত যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব অলংকার পরিধান বা ফোঁড়াই করাকে নাজায়েজ সাব্যস্ত করেনি। নিয়ম মেনে করা যায়।

প্রশ্ন : স্বামী শারীরিক মিলামেশায় সক্ষম কিন্তু সন্তান জন্মদানে অক্ষম হলে বিবাহ সম্পর্ক চালিয়ে যাবে নাকি স্বামীকে ডিভোর্স দিবে। দয়াকরে শরীয়তের আলোকে জানাবেন।
উত্তর : স্বামী শারীরিক মেলামেশায় বাস্তবিকই সম্পূর্ণ অক্ষম হলে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের কথা তুলতে পারে। আপসে হলে ভালো, না হয় আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তবে এসব বিষয় সত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য থেকে, অসত্য বা অন্যায়ভাবে স্বামীকে দায়ী করে সংসার ভেঙ্গে দেওয়া বড় গুনাহের কাজ। সন্তান জন্মদানে অক্ষম হওয়া স্বামীর জন্য কোনো আমলযোগ্য ত্রæটি নয়। যেমন এটি স্ত্রীর বেলায়ও কোনো ত্রæটি নয়। শুধু এ কারণে বিবাহ ভাঙ্গা যায় না। যথাসম্ভব চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি সন্তান না হয়, তাহলে দু’জনই ভাগ্যকে মেনে নেবে।
প্রশ্ন : আমি আমার স্ত্রীকে ৬ মাস পূর্বে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। আমাদের ৬ বৎসরের ১ সন্তান রয়েছে। আমরা আবার একত্রে হতে চাচ্ছি। শরীয়াহ মোতাবেক কি ভাবে নিতে পারব।
উত্তর : যদি তালাকে বায়েন বা পূর্ণাঙ্গ বিচ্ছেদ কোর্টের মাধ্যমে করে থাকেন এবং পরবর্তী ইদ্দত শেষ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আপনারা আর একত্রে হতে পারবেন না। শরীয়াহ মোতাবেক নেওয়ার দু’টি পথ আছে। এক. স্ত্রী যদি অন্য কোথাও সংসারী হন, আর সে স্বামী মারা যান, তাহলে পূর্ণ ইদ্দত (৪ মাস ১০ দিন) পার হওয়ার পর দু’জনে সম্মত হলে এই বিধবাকে আপনি সম্পূর্ণ নতুন করে বিবাহ করতে পারেন। দুই. প্রথমে তাকে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে, নতুন স্বামীর সাথে দৈহিক মিলন হতে হবে, এরপর যদি তাকে আপনার বা অন্য কারো প্রভাব বিস্তার ছাড়া সংগত কারণে তার নতুন স্বামী তাকে তালাক দেয়, তখন সম্পূর্ণ ইদ্দত শেষে (সন্তান পেটে থাকলে তার প্রসবের পর) নতুন করে আপনি এই স্বামী পরিত্যাক্তাকে বিয়ে করতে পারেন। এভাবেই পুনরায় আপনারদের মিলন সম্ভব। এছাড়া অন্য কোনো কৃত্রিম বা সাজানো পথ শরীয়ত সম্মত নয়। এরচেয়ে অনেক সহজ হলো আপনি ধরে নিন, আপনার এ স্ত্রী মারা গিয়েছেন। সন্তানদের জন্য বা আপনার নিজের জীবনের জন্য খুব সুবিধাজনক না হলেও নতুন কাউকে বিয়ে করে নিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ