পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে একটা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যে ধরনের খেলা চলছে তা কখনোই কাম্য নয়। নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের জন্য যারা খেলায় মেতেছে জাতি তাদের ক্ষমা করবে না। শুধু তদন্ত করে লাভ নেই। এই সমস্ত পাপিদের ফাঁসি দেওয়া উচিত।
গতকাল বুধবার রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ের সামনে এলডিপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। যার অন্যতম কারণ দেশ থেকে প্রায় ৭ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা দেশ থেকে টাকা নিয়ে পালাচ্ছে। ঋণ খোলাপির লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট পরিশোধ করছে না। এই অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম জাতীয় সংসদে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জানিনা কি কারণে পরিণত বয়সে এসে মেজর রফিক এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ১৯৮০ সালের পূর্বে তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বই লিখেছেন সেই বইতে এসব তথ্য নেই কেনো? জাতি জানতে চায় কি কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দ্বারা চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন? চাকরিচ্যুত হওয়ার পর ১৯৭৭/৭৮ সালে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম প্রায় অসহায়ের মতো জীবন যাপন করছিলেন। ঢাকায় আসার মতো টাকা তার কাছে ছিলো না। ঐ সময় আমি তাকে চট্টগ্রামের কমিশনার আউয়ালের মাধ্যমে বিমানের টিকিট কেটে ঢাকায় আনি। এরপর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে অনুরোধ করে তাকে ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান বানাই। মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম ওই ধরনের ব্যক্তি যে স্বার্থের জন্য যেই প্লেটে খায়, সেই প্লেটে ছিদ্র করে।
কর্নেল অলি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা তৎকালিন মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করি। এই রফিকুল ইসলামকে তখন চট্টগ্রামে পাওয়া যায়নি। পরে জেনেছি তিনি চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে সীমান্তবর্তী খাগড়াছড়ির রামগড় পোস্ট অফিসের দুই তলায় অবস্থান নেন। আমরা যুদ্ধ করেছি চট্টগ্রাম শহরে অথচ তিনি রামগড়ে পালিয়ে গেলেন কেন?
এসময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, এড. এসএম মোরশেদ, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, উপাধ্যক্ষ মোছা. কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইনবিষয়ক সম্পাদক এড. আবুল হাসেম, প্রচার সম্পাদক এড. নিলু, ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাদাত হোসেন মানিক, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, পূর্বের সভাপতি মো. সোলায়মান, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাড. নূরে আলম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ ফেব্রæয়ারি বিভাগীয় সদরে সমাবেশ: আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে ও বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রæয়ারি শনিবার দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে এলডিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।