পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পো শহর থেকে শেষ বিদ্রোহী দলটি চলে যাওয়ার একদিন পর শহরটি লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করেছে বিদ্রোহীরা। গত শুক্রবারের এ ঘটনার পর শহরের আশপাশের বিদ্রোহী অবস্থানগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে সরকারি বাহিনী। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আল হামদানিয়া এলাকায় বিদ্রোহীদের ছোড়া ১০টি গোলা পড়েছে। এতে দুটি শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। তবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন অন্তত তিনজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার-নিয়ন্ত্রিত আলেপ্পোর অংশগুলোতে নিয়মিত গোলাবর্ষণ করে এসেছে বিদ্রোহীরা। চলতি মাসে আলেপ্পোর লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গোলাবর্ষণ চালিয়ে গেছে তারা। জবাবে শহরটির বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত পূর্বাংশে বিমান হামলা চালিয়েছে সরকারি বাহিনী ও রুশ জঙ্গিবিমানগুলো। লড়াইয়ে পরাজয়ের পর ১৫ ডিসেম্বর স্থানীয়ভাবে সমঝোতা হওয়া অস্ত্রবিরতি অনুযায়ী বিদ্রোহীদের শহর ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা উভয়ই বন্ধ ছিল। কিন্তু শহর ছেড়েই বিদ্রোহীরা শহরটির লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করার পরপর বিমান হামলাও ফের শুরু হয়। শহররের পশ্চিমে, দক্ষিণ-পশ্চিমে ও দক্ষিণে এসব বিমান হামলা চালানো হয়। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় কোনো বিমান হামলা হয়নি। নতুন করে শুরু হওয়া বিমান হামলার হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি অবজারভেটরি। সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সমঝোতা অনুযায়ী কয়েক হাজার বেসামরিক বাসিন্দা পূর্ব আলেপ্পো ছাড়ার পর বিদ্রোহী যোদ্ধারাও ওই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্রোহীদর শেষ দলটি শহরের পশ্চিম দিকের গ্রাম এলাকায় চলে যায়। ওই গ্রাম এলাকাগুলো বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত। রেডক্রস জানিয়েছে, পূর্ব আলেপ্পো ছেড়ে প্রায় ৩৫ হাজার লোক চলে গেছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। শুক্রবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের লেবাননি মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যরা বিদ্রোহীদের ছেড়ে যাওয়া পূর্ব আলেপ্পোর এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালায়। বিদ্রোহীদের পেতে রাখা মাইন ও অন্যান্য বিপদ থেকে এলাকাগুলো মুক্ত করতে তারা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে অবজারভেটরি। অপরদিকে শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়া লোকজন শহরটির পশ্চিমে ও দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকায় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সকালে ইদলিব প্রদেশে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য জায়গা ঠিক করতে বুলডোজার ব্যবহার করে তুষার সরানোর হয়, সরকারি বিরোধী টেলিভিশন ওরিয়েন্টে এমন ছবি সম্প্রচার করা হয়। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।