Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিপুল লাভ সত্ত্বেও কেন হাজার হাজার ছাঁটাই? গুগলের বিরুদ্ধে সরব কর্মী সংগঠন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:০৩ পিএম

শীঘ্রই চাকরি যেতে চলেছে গুগলের ১২ হাজার কর্মীর। আলফাবেট ইনকের তরফে সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করা হয়েছে। কর্মীছাঁটাইয়ের সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই। আর এই নিয়েই এবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছে আলফাবেট কর্মী ইউনিয়ন। তাদের অবিযোগ, বিপুল অর্থ লাভ হচ্ছে কোম্পানির। তা সত্ত্বেও কর্মী ছেঁটে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যা একেবারেই কাম্য নয়।

আলফাবেট কর্মী সংগঠনের তরফে গুগলের সিদ্ধান্তকে একহাত নিয়ে বলা হয়, কর্মীদের প্রতি এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। গত বছরই এই কোম্পানি ১৭ বিলিয়ন ডলার লাভ করেছে। সেখানে ১২ হাজার ছাঁটাই করে স্বস্তি খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। এগারোশোরও বেশি সদস্য নিয়ে তৈরি বেসরকারি এই শ্রমিক সংগঠনের আরও দাবি, আলফাবেট কর্মীদের দিয়ে প্রচুর কাজ করায়। অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় তাদের। তা সত্ত্বেও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা করা হয় না। আগামী দিনে শেয়ারহোল্ডারদের সুবিধা করে দিতেই এমন অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল বলেও সরব শ্রমিক সংগঠন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এই খবরই সংস্থার কাজের পরিবেশকে উন্নততম করার ক্ষেত্রে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করে তুলল।”

সম্প্রতি বিল গেটসের কোম্পানি মাইক্রোসফটের তরফে প্রায় ১১ হাজার কর্মী কমিয়ে ফেলার খবর এসেছিল। তারপরই গুগল সিইও সুন্দর পিচাই ই-মেল করে কর্মীদের দুঃসংবাদ দেন। বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা আনুমানিক ১২ হাজার কর্মী কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকের কর্মীদের ই-মেল মারফৎ এই খবর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশের কর্মীরাও শীঘ্রই ই-মেল পাবেন। সেখানকার নিয়মকানুন মেনে ই-মেল করা হবে বলে খানিকটা বেশি সময় লাগছে।”

১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের অর্থ মোট কর্মী সংখ্যার ৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলা। আগামী দিনের প্রতিযোগিতার বাজারের কথা মাথায় রেখেই এহেন সিদ্ধান্ত বলেও জানায় গুগল। কিন্তু এত পরিমাণ লাভের পরও কেন কর্মীদের বেকারত্বের দিকে ঠেলে দেয়া হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কর্মী সংগঠন। যদিও কোম্পানির তরফে এ প্রশ্নের এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। সূত্র: রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ