Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিবি প্রধান হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৪:৩২ পিএম

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার আবেদন খারিজ করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী রোববার এ আদেশ দেন।
এর আগে অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার আবেদন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। মামলায় ডিবি প্রধান হারুন ছাড়াও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মেহেদি হাসান, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, উপপুলিশ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান, এসি মতিঝিল জোন গোলাম রুহানি, আনসার সদস্য আল আমিন ওরফে মাহিদুর রহমান। এছাড়াও আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ পুলিশ সদস্য।
নাজিম উদ্দিনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ১০ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। আদালত মামলা নেয়ার আবেদন খারিজ করেছেন।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। তার আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন বিএনপির অর্ধশত নেতা-কর্মী। সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানের পর ডিএমপির ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৩০০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক ও ককটেল পাওয়া গেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত ৫০ সদস্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় পরদিন চারটি মামলা হয়। পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পুলিশের করা পৃথক চার মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। প্রতিটি মামলায়ই আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আবেদনে যা ছিল: মামলার আবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাস, অকটেন, ডিজেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে দলীয় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দলটি বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর ঘোষণা করে। যার ধারাবাহিকতায় দেশব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিবাদ গণসমাবেশ হয়। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারিত ছিল। দেশ থেকে নেতাকর্মী ও গণতন্ত্রকামী জনতা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা যাওয়া করতে থাকে। বিষয়টি অতি উৎসাহী আসামিদের নজরে আসে এবং অনুষ্ঠানটি বানচালের ষড়যন্ত্রের ছক কষতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদসহ ১০/১২ জন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলার তালা ভেঙ্গে ফেলে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ধ্বংস করে। এরপর আসামিরা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে তালা ও লক ভেঙ্গে ফেলে। তারা একটি কম্পিউটার ও একটি প্রিন্টার নিয়ে নেয় যার আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা। এভাবে তারা কার্যালয় থেকে ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায় এবং তিন লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল ক্ষতি করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবেদন খারিজ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ