নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের শীর্ষ স্তর পর্যন্ত এখনো ‘অবচেতন’ভাবে বর্ণবৈষম্য অব্যাহত আছে। দেশটির অভিজ্ঞ টেস্ট ব্যাটার উসমান খাজা এই কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “প্রতিনিধিত্বের অভাবে ‘হাই-পারফরমেন্স লেভেলে’ অশ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হওয়া ছিল মূল চ্যালেঞ্জ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট এখনো সেই জায়গায় রয়ে গেছে।”
সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে খাজা বলেন, ‘আমি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাথে সেই জায়গাটায়ই কাজ করতে চেয়েছিলাম। দেখুন, আপনি সেখানে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু কিছুই ঠিক হচ্ছে না। ১০ বছর ধরেই আপনি কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু কোনো অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘অবচেতনভাবে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। আপনার যদি দু’জন ক্রিকেটার থাকে এবং এদের একজন অশ্বেতাঙ্গ, অপরজন শ্বেতাঙ্গ অথবা দু’জনই একই রকম। শ্বেতাঙ্গ কোচটি তখন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারকেই বেছে নিবেন। কারণ তার ছেলে সন্তানটি দেখতে ওই শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারের মতো। তার কাছে এটি স্বাভাবিক মনে হয়েছে।’
খাজার বক্তব্য সঠিকই বলা যায়। কারণ পুরো সিএ (ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া) বোর্ড, জাতীয় নির্বাচক এবং সিনিয়র কোচিং স্টাফরা শ্বেতাঙ্গ।
গত মাসে খাজা টুইটারে দাবি করেন যে দলের সঠিক কিট পরে থাকার পরও এবং একটি সিরিজের মাঝামাঝি সময় আইডি কার্ড পরীক্ষা করার জন্য নিরাপত্তারক্ষী তাকে প্রায় সময়ই থামাতেন।
খাজা সেই টুইট, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ান কিট পরে থাকার পরও গত বছর আমাদের হোটেলে প্রবেশের সময় তিনবার থামিয়েছে। এবং জিজ্ঞেস করা হয়েছে যে আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের সাথে আছি কিনা...।’
উল্লেখ্য, উসমান খাজা পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। এবং খুব কম বয়সে সিডনিতে বসবাস করতে আসেন। সেখানেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। এবং অভিজ্ঞ ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে ক্রিকেট খেলেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এ পর্যন্ত খাজা ১০৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এবং ৫৯৫৭ রান করেছেন। সূত্র : জিও টিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।