পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে হাবিব মোহাম্মদ একমাইল নামে ২৫ বছর বয়সি আরও এক ফিলিস্তিনি তরুণ প্রাণ হারিয়েছেন। পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ইহুদীবাদী সেনারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরাইলি সেনাদের হামলায় আরও তিন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইসরাইলি সেনাদের ছোঁড়া গুলি হাবিব মোহাম্মদ একমাইলের মাথায় লাগে এবং তাতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। তাকে জেনিন শহরের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। খবর ওয়াফার। এই ঘটনায় আরেক ফিলিস্তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং মারাত্মক অবস্থায় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে সামির ওউনি আরাবি আসলাম নামে এক ফিলিস্তিনি আল কুদস শহরের উত্তরাংশে কালামান্দিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে নিহত হন। ইসরাইলি সেনাদের হাত থেকে তার ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ৪১ বছর বয়সি ওই ফিলিস্তিনি বুকে গুলিবিদ্ধ হন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়- আসলান মারাত্মক আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন এবং ইসরাইলি সেনারা তাকে ঘিরে রাখে। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ফিলিস্তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একই দিনে জেনিন শহরে আবদুল হাদি নাজ্জাল নামে ১৮ বছরের এক তুরুণকে বুকে ও গাড়ে গুলি করে হত্যা করে ইসরাইলি সেনারা। এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে বর্ণবাদী ইসরাইলি সেনারা নাবলুসের বালাতা শরণার্থী শিবিরে এক তরুণকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইহুদিবাদী সেনারা নাবলুস এবং জেনিনসহ পশ্চিমতীরের বিভিন্ন এলাকায় বর্বর হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের এসব হামলায় অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত এবং শত শত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।