Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানকে ৯০০ কোটি ডলার দেবে দাতা দেশগুলো

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১১:২৫ এএম | আপডেট : ১১:৩২ এএম, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩

সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানে প্রায় ৯০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের উদ্যোগে সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া এক সম্মেলনে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক ও সৌদি আরবসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ফ্রান্স।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এই সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিলেন। সহায়তার এ অর্থ বন্যা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দেশটির মোট প্রয়োজনের অর্ধেকের বেশি। খবর বিবিসির

খবরে বলা হয়েছে, এই মুহূ্র্তে বন্যাবিধ্বস্ত দেশটির রিজার্ভ ৬০০ কোটি ডলারের নিচে। যা রিজার্ভ দিয়ে বড়জোর মাসখানেকের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। এদিকে হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। দেশটিতে এখন মূল্যস্ফীতির হার ২৪%।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দেন। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে পাকিস্তান এ সম্মেলনে ১৬০০ কোটি ডলারের সহায়তা চেয়েছিল।

সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পাকিস্তানকে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা থেকে বাঁচানোর আহ্বান জানান। সম্মেলনের ফাঁকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। ওই বৈঠকে পাকিস্তানের বেলআউট প্রকল্পে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

বন্যার পানির বেশিরভাগ এখন হ্রাস পেয়েছে তবে আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত দুর্যোগ-পরবর্তী একটি সমীক্ষা অনুমান করে যে, দীর্ঘমেয়াদে দেশটির পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার প্রয়োজন।

পাকিস্তানি এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, লাখ লাখ শিশু এখনো দূষিত এবং বন্যার স্থির পানির কাছাকাছি বাস করছে, যা তাদের জীবন যাপন এবং সুস্থতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

শরিফ সরকার বলেছে, বিপর্যয়কর বন্যা পাকিস্তান যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সেখানে আরও সংকট যুক্ত করেছে।

প্রায় ২২ কোটি জনসংখ্যার দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দ্রুত হ্রাসের মধ্যে জ্বালানি এবং খাদ্যের মতো পণ্যের আমদানির জন্য অর্থ ব্যয় করার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করছে, যা ইসলামাবাদের জন্য বৈদেশিক ঋণের বাধ্যবাধকতা পূরণ করা কঠিন করে তুলেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ