হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
মুনশী আবদুল মাননান : গার্মেন্ট শিল্পে হঠাৎই একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কে বা কারা আশুলিয়ায় কিছু গার্মেন্ট কারখানায় লিফলেট ছড়িয়ে দেয়। লিফলেটে শ্রমিকদের বেতন বর্তমান অপেক্ষা তিনগুণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে আনুসঙ্গিক কিছু দাবি জানানো হয়। এরপর প্রথমে একটি কারখানায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। দেখাদেখি একে একে অন্যান্য কারখানায় কর্মবিরতির ঘটনা ঘটে। আকস্মিক কর্মবিরতির এ ঘটনায় কারখানার নিরাপত্তার কথা বলে মালিকরা কারখানা বন্ধ করে দিতে থাকে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অর্ধশতাধিক কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিকদের বর্ধিত বেতন ও অন্যান্য দাবিতে সমাবেশ, রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর এমনকি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেও দেখা যায়। এর মধ্যে কোনো কোনো কারখানা বন্ধের নোটিশের সঙ্গে কিছু শ্রমিকের সাময়িক বরখাস্তের নোটিশও টাঙিয়ে দিয়েছে। কোনো কোনো কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ এনে কিছু শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বিজিএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া বিবেচনা করে দেখা হবে, এই আশ্বাসের ভিত্তিতে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে বলে শ্রমিক প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা কর্মবিরাত প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে ফেরেনি। এমতাবস্থায় আশুলিয়ায় এলাকা নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর ও জোরদার করা হয়েছে।
প্রথম দিকে যে ৫৫ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়, সেই কারখানাগুলোতে কাজ করে প্রায় দু’লাখ শ্রমিক। বিজিএমইএ’র একজন নেতা বলেছেন, ওই কারখানাগুলোতে প্রতিদিন কমপক্ষে এক কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক উৎপাদন হয়। কারখানা মালিকরা জানিয়ে দিয়েছেন, কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে বন্ধ করে দেয়া কারখানাগুলোর শ্রমিকরা কোনো মজুরি পাবে না। মালিকরা এ ক্ষেত্রে শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারার আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে বলা হয়েছে, কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকরা কোনো বেতন বা মজুরি পাবে না।
ঘটনা প্রবাহের এই ধারা-প্রক্রিয়া থেকে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, শ্রমিক ও মালিক পক্ষ উভয়েই কঠোর অবস্থানে চলে গেছে। সরকার বা প্রশাসনও কঠোরতা প্রদর্শনের পথ অবলম্বন করেছে। এ পরিস্থিতি আগামীতে অব্যাহত থাকলে উৎপাদন ও রফতানির যেমন আরো ক্ষতি হবে, তেমনি শ্রমিকদেরও ক্ষতির শিকার হতে হবে। বিজিএমইএ’র তরফে রফতানি বাজার হারানোর আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে। অতীতে শ্রমিক অসন্তোষ বা অন্যকোনো কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ফলে রফতানি বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা কারো অজানা নেই। বিজিএমইএ উদ্ভূত পরিস্থিতিকে দেশি-বিদেশি চক্রান্তর ফল বলে অভিহিত করেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, আশুলিয়ায় শ্রমিকরা যে আন্দোলন করছে, তার পেছনে রয়েছে অদৃশ্য শক্তির ইন্ধন। শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, পোশাক শিল্পে ধ্বংস একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। বিজিএমএইএ ও মন্ত্রীদ্বয়ের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই ‘চক্রান্তের’ হোতা বা ‘অদৃশ্য শক্তি’কে খুঁজে বের করার দায় থেকে বিজিএমইএ ও সরকার মুক্ত হতে পারে না। গার্মেন্ট খাতকে অস্থিতিশীল, বিপন্ন, অকার্যকর এবং এক কথায় ধ্বংস করে দেয়ার জন্য দেশি-বিদেশি চক্রান্তের কথা আমরা অনেক দিন ধরে শুনে আসছি। অতীতের শ্রমিক অসন্তোষ এবং শ্রমিকদের নামে নাশকতামূলক তৎপরতা থেকে এই চক্রান্তের বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করলেও এবং বিজিএমইএ ও সরকারের তরফ থেকে বারবার চক্রান্তের কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করার কোনো চেষ্টা ও প্রয়াস আমরা লক্ষ্য করিনি।
২০১৩ সালের সর্বশেষ মজুরি বোর্ডের বেতন কাঠামো অনুযায়ী, শ্রমিকরা ন্যূনতম পাঁচ হাজার তিনশ’ টাকা বেতন পায়। গত কয়েক বছরে পণ্যমূল্য, সেবামূল্য ও বাড়িভাড়া যেভাবে বেড়েছে তাতে পাঁচ হাজার তিনশ’ টাকায় কোনো রকমে চলাও সম্ভব নয়। এমতাবস্থায়, বেতন বাড়ানোর দাবি শ্রমিকরা করতেই পারে এবং মালিকপক্ষ সেটা সহৃদয়তার সঙ্গে বিবেচনায়ও নিতে পারে। গত কিছুদিন ধরে শ্রমিক সংগঠনগুলো বেতন বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে গণসংযোগ করে আসছিল বলে জানা যায়। তাদের দাবি ন্যূনতম বেতন ১৬ হাজার টাকা করতে হবে। কিন্তু অনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবি জানানো এবং আন্দোলনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের আগেই কে বা কারা ১৫ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতন ও কতিপয় দাবি সম্বলিত লিফলেট ছেড়ে দেয়। এরপর আশুলিয়ায় শ্রমিকরা হুট করে কর্মবিরতিতে নেমে পড়ে। এই লিফলেটের দায় কোনো দায়িত্বশীল শ্রমিক সংগঠন নিতে পারে না। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায়ের আন্দোলনের একটি স্বীকৃত ধারা রয়েছে। সেই ধারায় সর্বশেষ কর্মসূচি হলো কর্মবিরতি বা ধর্মঘট। যারা কথিত লিফলেটের ভিত্তিতে কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছে, তারা আন্দোলনের ধারাবাহিকতা লংঘন করেছে। কারা লিফলেট ছেড়ে শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে চরম কর্মসূচিতে নামিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করা দরকার। দায়িত্বশীল শ্রমিক সংগঠনগুলোর এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। বিজিএমইএ ও সরকারেও উচিত বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
গার্মেন্ট খাতে উত্তেজনা, অস্থিরতা কিংবা অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা আমাদের সঙ্গতকারণেই ভাবায়, উদ্বিগ্ন করে। এটি শিল্পের বড় খাত। বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রফতানি সবদিক দিয়েই গার্মেন্ট খাত শীর্ষে গত আড়াই-তিন বছরে নানা কারণে পাঁচ শতাধিক গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও এবং হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়লেও এখনো গার্মেন্ট কারখানার সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম নয় এবং এসব কারখানায় সব মিলে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। গার্মেন্ট শিল্পের পাশাপাশি সংযোগ শিল্পের সংখ্যাও হাজার হাজার। এসব শিল্পেও কাজ করে লাখ লাখ শ্রমিক-কর্মী। এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে হাজার হাজার মানুষ। এ খাত ও খাত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে কত বিনিয়োগ আছে তা নিরূপণ করা কঠিন। দেশের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আসে এই খাত থেকে। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই খাত থেকে প্রাপ্ত আয়। এ ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গার্মেন্ট খাতের ভূমিকা প্রধান। এ খাতে বেশিরভাগ শ্রমিক নারী, যারা এর আগে অর্থ উপার্জনের কোনো প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল না। যত কম অর্থই তারা উপার্জন করুক, সেটা তাদের সংসার বা পরিবারের কাজে আসছে। তাদের জীবনযাত্রার মান ও ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে বা বাড়ছে।
এ কথাও কারো অজানা নেই, সস্তা শ্রমের কারণেই গার্মেন্ট শিল্পের বিকাশ দ্রুতায়িত হয়েছে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যের বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও এটাই বড় কারণ। এই শিল্পের আরো বিকাশ এবং তার একটি টেকসই অবস্থান নিশ্চিত করা জাতীয় স্বার্থেই অপরিহার্য। এটা মালিক, শ্রমিক ও সরকারের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ-প্রয়াস ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই সম্ভবপর হতে পারে। এটা ঠিক গার্মেন্ট শ্রমিকরা মাসে যে বেতন পায় ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন সম্ভব নয়। কিন্তু এও মনে রাখা দরকার, বেকার ও রোজগারহীন থাকার চেয়ে এটা ভালো। দেশের বর্তমানে কয়েক কোটি মানুষ বেকার রয়েছে, যার উল্লেখযোগ্য অংশ শিক্ষিত বেকার। তাদের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিকরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারে। আবার মালিকরাও নিজেদের ভাগ্যবান মনে করতে পারেন, এত সস্তায় শ্রম কিনতে পারছেন বলে। সবচেয়ে কম মূল্যে তারা শ্রম কিনছেন। মূলত এ কারনেই তাদের ব্যবসা বাড়ছে, রফতানি বাড়ছে, আয় বাড়ছে। সুখ-সম্ভোগ ও সামাজিক মর্যাদাও বাড়ছে। অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো যদি তাদের শ্রমিক-মজুরি গুনতে হতো তাহলে তাদের এই রমরমাভাব থাকতো না। শ্রমিক ও মালিকের মতো দেশেরও লাভ হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রা আসছে ক্রমবর্ধমান হারে এবং সেই বৈদেশিক মুদ্রা জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আমদানি সক্ষমতাও এর ফলে ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
সত্য বটে, গার্মেন্ট খাতের ওপর ঝড়ঝাপটা কম আসেনি। কারখানার কর্ম পরিবেশ ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে বিদেশী ক্রেতা ও তাদের সংগঠনগুলো বরাবরই পেছনে লেগে আছে। বিভিন্ন সময়ে কারখানায় অগ্নিকা-, ধস ইত্যাদি কারণে বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের প্রাণহানি তাদের ন্যায়-অন্যায় শর্ত চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। কারখানার উন্নত কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গার্মেন্ট মালিকরা যথেষ্ট অবহেলা করেছেন। তাদের উচিত ছিল শুরুতেই কিংবা ধীরে ধীরে কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ করা। তাহলে এই অজুহাত তুলে ক্রেতা বা ক্রেতা সংগঠনগুলো গার্মেন্টপণ্য না কেনার হুমকি ও কমমূল্য দেয়ার আবদার করতে পারতো না, ঠকাতে পারতো না। এখন অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ডের শর্ত মানতে গিয়ে তাদের নাস্তানাবুদও হতে হতো না। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবির প্রেক্ষিতে মালিকদের কেউ কেউ বলেছেন, কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে গিয়ে তাদের প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ কারণে তাদের পক্ষে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। একে একটা খোঁড়া যুক্তি বা অজুহাত হিসাবে সাব্যস্ত করা যায়। এতদিন তারা কারখানার কর্ম পরিবেশ ও নিরাপত্তা বাড়াননি কেন? তারা কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, যে মজুরি দেন, তা যথেষ্ট তাদের মনে রাখতে হবে, শ্রমিকরাই শ্রম দিয়ে কারখানা চালু রাখছে, উৎপাদন উপহার দিচ্ছে। তাদের দিকেও তাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাকানো উচিত।
চাওয়া মাত্রই সব কিছু পাওয়া যাবে এবং তা দিতেই হবে, শ্রমিকদের এমন জিদেরও কোনো মানে নেই। কথায় কথায় কাজ বন্ধ করা ও উৎপাদন ব্যহত করা, কারখানায় হামলা বা ভাংচুর করা কোনো প্রকৃত শ্রমিকের কাজ হতে পারে না। তাদেরও স্মরণ রাখতে হবে, কারখানা তাদের আয়-রোজগারের উপায়। তা বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা ধ্বংস হলে তাদের আয়-রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে যাবে। কারখানা ও উৎপাদন চালু রেখেই তাদের ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া পেশ করতে হবে, প্রয়োজনে আন্দোলন করতে হবে। তবে স্বীকৃতি প্রক্রিয়ার বাইরে যাওয়া যাবে না।
গার্মেন্ট পণ্য রফতানিতে আমাদের প্রতিযোগী কম নেই। ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশী গার্মেন্ট পণ্যের যে বিশাল বাজার রয়েছে তা দখল করার জন্য তাদের নানামুখী তৎপরতাও আছে। আমরা জানি, এমন প্রতিযোগী দেশও আছে যে ওই বাজার কবজা করার জন্য মরিয়া। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজার বাড়ানো বা অন্যের বাজার দখল করার প্রবণতা খারাপ কিছু নয়। যে যোগ্যতম, সেই টিকবে, এটাই সার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে গার্মেন্ট শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ করে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে উৎপাদন ব্যাহত করার যে কৌশল বরাবর দেখা যায়, তার পেছনে কারো না কারো হাত থাকা সম্ভব। এদেশেও কিছু লোক তার হাতিয়ার হিসাবে নিয়োজিত থাকতে পারে। এ জন্য চক্রান্ত ও অদৃশ্য শক্তির কথা শুধু মুখে বলা হয়, কার্যকরভাবে তা প্রতিহত করতে হবে। চলমান পরিস্থিতি উত্তরণে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে মালিক-শ্রমিক ও সরকারকে একযোগে উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে। কাজ বন্ধ করা সংকটের সমাধান নয়। আবার কারখানা বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাইও কোনো সমাধান নয়। উভয় পক্ষকে বাস্তবতা ও নিজেদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছাতে হবে। সরকারকেও এক্ষেত্রে যথোপযুক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।