গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একটা গোষ্ঠী পুঁজিবাজার নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারকে পেছনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমি আশা করছি, পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, বাজার ভালো হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন শুধু পুঁজিবাজারই নয়, একটি গ্রুপ চালাকির সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনীতির উন্নতিকে ডিফাইন করছে, গুজব ছড়াচ্ছে, মিথ্যা কথা বলছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। দেশ যে এত এগিয়েছে, তারা বলছেন, এটা ঠিক না। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নতি তো আর তারা অস্বীকার করতে পারবে না। যারা এগুলো করছে, তারা এই দেশের উন্নতি চায় না।
তিনি বলেন, উন্নত অর্থনীতির দেশে ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পুঁজিবাজার থেকে নেওয়া হয়। আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। দেশে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হচ্ছে। যার জন্য বেশকিছু সমস্যাও হচ্ছে। যদি ৫০ শতাংশ অর্থও পুঁজিবাজার থেকে আসতো, তবে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হতে বাধ্য।
টিপু মুনশি বলেন, বৈশ্বিক সংকট নিয়ে আমি চিন্তিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি জানান, সংকটেও রপ্তানি বাড়ছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে।
সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী ।
তিনি বলেন, দেশের পোশাকখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বর মাসে যে রপ্তানি আয় এসেছে, সেটা সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। গত বছর ৫১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম, বছর শেষে সেটা ৬১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২০ শতাংশ বেশি। সেই সাহস নিয়ে এবার ৬৭ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। ২০২৪ সালে আমরা ৮১ বিলিয়ন ডলার চাই।
বক্তব্য শেষে তিন দিনব্যাপী পুঁজিবাজার মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) প্রেসিডেন্ট আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোতে বিএসইসি, সিডিবিএল, বিআইসিএম, বিএএসএম, আইসিএবি, আইসিএমএবি, আইসিএসবি, ব্রোকার হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, লিস্টেড কোম্পানি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
তিন দিনের এক্সপোতে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের বাইরে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর চারটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এসব সেমিনারে বিএসইসি, ডিএসই ও সিএসইর শীর্ষ কর্মকর্তা, খ্যাতনামা স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অ্যাসেট ম্যানেজার, শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট, চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল এনালিস্ট প্রমুখ অংশ নেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।