Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কনকনে শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:৪৬ পিএম

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম। বৃহঃবার(৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার পর সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। রেহাই পাচ্ছে না পশুপাখিরাও। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, বৃহঃবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা আগামী কয়েকদিন এ তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

কনকনে ঠান্ডার কারণে জীবন-জীবিকার তাগিদে শীতকে উপেক্ষা করেই কাজে বের হতে হচ্ছে শ্রমজীবিদের। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী অববাহিকার সাড়ে চারশতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষ।

জেলা সদরের চরসিতাইঝাড় এলাকার মো.হযরত আলী বলেন,'ঠ্যালা গাড়িতে বাশ নিয়ে হাটে যাচ্ছি। কিন্তু কনকনে ঠান্ডা ও শিরশির বাতাসের কারনে ঠ্যালা গাড়ি ঠেলে যাওয়া মুশকিল হয়ে পরছে।'

সদরের ধরলা পাড়ের বাসিন্দা নন্দলাল রবিদাস বলেন,'ঠান্ডার কারনে দুদিন কাজে যাইনি। ঘরে খাবার নেই। তাই আজ নিরুপায় হয়ে কাজে বের হয়েছি। গরম কাপড় নেই। কিন্তু ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।'

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে নতুন করে ১ লাখ ১৪ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্যপ্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ