মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফিলিস্তির দখল করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ইসরাইল। এমন পরিস্থিতিতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ করা যায় সেই মর্মে আন্তর্জাতিক আদালতের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। আদালতের মত নেয়া হবে কিনা, সেই নিয়ে ভোটাভুটি হল জাতিসংঘে। কিন্তু এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকল ভারত। তবে মোট ৮৭টি ভোট পেয়ে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবটি। তার ফলে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন সদ্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী পদে বসা নেতানিয়াহু।
দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব। একাধিকবার চরম আগ্রাসন দেখিয়েছে ইসরাইলের সেনা। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের অকাতরে গুলি করে মেরেছে তারা। সেই জন্যই ইসরাইলের আগ্রাসনকে রুখতে আন্তর্জাতিক আদালতের থেকে আইনি পরামর্শ নেয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয় জাতিসংঘে। সেখানে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে ইসরাইল। সেখানকার মানুষের মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে। তাছাড়াও জেরুজালেমে প্রশাসনিক রদবদল করে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে ইসরাইল।’ এই মত পেশ করার পরেই আইনি পরামর্শের প্রস্তাব রাখা হয় সাধারণ সভায়।
সদস্য দেশগুলির কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘ইসরাইলের অতিসক্রিয়তার ফলে ফিলিস্তিনের প্রশাসনে কী প্রভাব পড়বে? এমন পরিস্থিতিতে কী আইনি পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ জাতিসংঘ ও সদস্য দেশগুলির, সেই বিষয়ে পরামর্শ চাওয়া উচিত আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে।’ প্রত্যাশিতভাবেই এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আমেরিকা ও ইসরাইল। ভারত, ফ্রান্স, ব্রাজিল, জাপান, মিয়ানমার-সহ ৫৩টি দেশ এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। ৮৭টি ভোট পেয়ে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ সভায়।
এই প্রস্তাব পেশের পরেই তীব্র বিরোধিতা করেন ইসরাইলের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত আসলে নৈতিক অবক্ষয়ের প্রমাণ, এই দাবিতে সরব হন তিনি। প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে মুখ খুলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে তিনি বলেছেন, ‘ইহুদিরা তাদের নিজেদের ভূখণ্ড দখল করেনি। জেরুজালেম আমাদের সর্বকালের রাজধানী। জাতিসংঘের কোনও প্রস্তাবই এই ঐতিহাসিক সত্যকে বিকৃত করতে পারবে না।’ সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।