Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শীতে জনদুর্ভোগ পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:০০ পিএম

পঞ্চগড়ে শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রতিবারই শীতের প্রকোপ বেশি। পুরো শীত মৌসুম জুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।রোববার (১ জানুয়ারি)সকাল ৯ টায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা দেশের মধ্যে সর্বনি¤œ।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রে এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এর আগে শুক্রবার ও শনিবার ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে,গত কয়েকদিন ধরে জেলা জুড়ে বয়ে গেছে ঘন ঘুয়াশা আর কন কনে ঠান্ডা। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো ঝরেছে কুয়াশা।রোববার সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিলো পুরো জেলা।অনেকে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।পুরান গরম কাপড়ের দোকানে ভীর লক্ষ্য করা গেছে। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেড়িয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
শীতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতাল গুলোতে।এদিকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পাড়ে।
জগদল এলাকার রাজমিস্ত্রী আকবর আলী জানান, এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়া খুব কঠিন।উপায় নাই সংসার চালানোর জন্যই কাজে বেড়িয়েছি।কাজ করতে গিয়ে শীতে হাত-পা বাঁকা হয়ে যায়।
হেলিপোর্ট এলাকার ট্রাক চালক আবু সাঈদ জানান,ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় গাড়ি চলাচলে খুব কষ্ট।বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড় আসতে তিন ঘন্টা সময় লেগেছে। কুয়াশায় সড়কে কিছুই দেখা যায় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ জানান জেলায় মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে। রাত থেকেই কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় ঢাকা পড়ে জনপদ।
তবে শীত আরো বাড়তে পারে বলেন এই কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শৈত্যপ্রবাহ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ