Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.) : ইসলাম প্রচারে অনন্য অবদান

| প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কে.এস. সিদ্দিকী : উপমহাদেশে চিশতিয়া তরিকার প্রবর্তক ছিলেন হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী আজমিরী হানাফী (রহ.)। তিনি ছিলেন হযরত খাজা উসমান হারুনী (রহ.)-এর খলিফা এবং তার পীর-মুর্শিদ ছিলেন খাজা হাজী শরীফ জিন্দানী। তরিকতে খাজা আজমিরী (রহ.)-এর ঊর্ধ্বতন সিলসিলা হজরত আলী (রা.) পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অপরদিকে অধস্তন তরিকতের ধারায় যথাক্রমে হযরত দাতা গঞ্জেবখশ আবুল হাসান আলী হুজ ভেরী (রহ.), হজরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী (রহ.), হজরত বাবা ফরিদুদ্দীন মাসউদ গঞ্জেশকর (রহ.) এবং তার খলিফাদের মধ্যে হযরত মাখদুস আলাউদ্দীন আলী আহমদ ছাবেরী কেলিরী (রহ.) ও হজরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া মাহবুবে এলাহী (রহ.)। স্মর্তব্য যে, গঞ্জেবখশ ও গঞ্জে শকর দুই বুজর্গ। প্রথমোক্ত  জন পীর -মুর্শিদ ছিলেন বখতিয়ার কাকীর এবং দ্বিতীয়জনের খলিফা ছিলেন নিজামুদ্দীন আওলিয়া।
মাহবুবে এলাহী হজরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.) ছিলেন বাবা ফরিদগঞ্জে শকর (রহ.)-এর অতিপ্রিয় মুরিদ ও খলিফা। তিনি কীভাবে গঞ্জেশকরের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার হাতে বয়ত হন এবং খেলাফত লাভ করেন।সীরাত গ্রন্থগুলোতে তার চমৎকার বর্ণনা রয়েছে। এ ভক্ত মুরিদ পীর মুর্শিদের নেক নজর ও দোয়ার বদৌলতে তাসউফ সাধনায় শীর্ষ আসনে আসীন হয়েছিলেন। তার সাধনা দেখে পীর- মুর্শিদ তার জন্য দোয়া করেছিলেন। জীবনের এক-তৃতীয়াংশ তিনি কঠিন সাধনায় আত্মনিয়োগ করে তরিকতের সর্বোচ্চ আসন লাভ করেছিলেন।
কথিত আছে যে, মাহবুবে এলাহীর সমগ্র জীবনে একজন মাত্র মুসলমান হওয়ার সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন না, তিনি এ জন্য সর্বদা বিচলিত ছিলেন। এ সম্পর্কে ‘ফুওয়াদুল ফুওয়াদ’ পুস্তকে বর্ণিত আছে যে, তার একজন  মুরিদ এক হিন্দুকে সঙ্গে নিয়ে আসে এবং জানায় যে, হিন্দুটি তার ভাই। দুজন যখন বসে পড়ে, তখন খাজা সাহেব জিজ্ঞাসা করেন, এ ব্যক্তি কি আসলে তোমার ভাই? ইসলামের প্রতি কি তার কোনো আগ্রহ আছে? সে বলল, এ উদ্দেশ্যেই তাকে এখানে আমি নিয়ে এসেছি যে, আপনার শুভদৃষ্টিতে সে মুসলমান হয়ে যাবে। খাজা সাহেব অশ্রুসজল নয়নে বললেন : এ জাতির ওপর কারো কথার কোনো প্রভাব পড়ে না, তবে যদি কোনো নেক বান্দার সং¯্রবে যাতায়াত করে তখন হয়তো তার সৌভাগ্যে সে মুসলমান হয়ে যায়।
উক্ত কিতাব পাঠে জানা যায়, বহু হিন্দু ইসলামের সভ্যতায় বিশ্বাসী ছিল, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেরাদবি বা ভ্রাতৃত্বের বিরোধিতার কারণে ইসলাম গ্রহণে বিরত থাকত। এ সম্পর্কে আরো বলা হয়ে থাকে যে, উপস্থিত লোকদের মধ্যে খাজা সাহেবকে একজন প্রশ্ন করে, যে হিন্দু কলেমা পড়ে আল্লাহতায়ালাকে এক বলে বিশ্বাস করে এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রেসালাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু যখন মুসলমানের সামনাসামনি হয়, তখন নীরবতা পালন করেÑ  তার পরিণতি কী হবে? জবাবে খাজা সাহেব বলেন, ‘তার ব্যাপারটি আল্লাহর সাথে জড়িত, ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা অথবা শাস্তি প্রদান করতে পারেন।’
অতঃপর তিনি বলেন, কোনো কোনো হিন্দু এ কথা উত্তম রূপে অবগত আছেন যে, ইসলাম একটি সত্য ধর্ম, তথাপি তারা মুসলমান হয় না (সূত্র : প্রাগুক্ত)।
‘আহব কাওসার’ পুস্তকের  লেখক শেখ মোহাম্মদ একরাম লিখেছেন :
‘সুলতানুল মাশায়েখ যদিও অমুসলিমদের মধ্যে সেভাবে ইসলাম প্রচার করতে পারেননি, যেভাবে তার পীর মুর্শেদ করেছিলেন (সম্ভবত যা রাজধানীতে সম্ভব ছিল না)। তবে এটাও কম কথা নয় যে, তিনি খোদ মুসলমানদের সংস্কার (মন মানসিকতার) এবং আত্মশুদ্ধির প্রসারে ব্যাপকভাবে, প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনি এমন একটা শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেন, যার অধীনে ইসলাম প্রচারের কাজ দেশের বিভিন্ন অংশে সম্পন্ন হতে থাকে।
গুজরাট (দাক্ষিণাত্য) ও বাংলায় যেসব সাধক, বুজুর্গ ইসলাম নিয়ে যান তাদের মধ্যে মওলানা হুসামুদ্দীন মুলতানী, মওলানা কামালউদ্দীন, শেখ  বোরহানুদ্দীন গরিব এবং মওলানা সিরাজুদ্দীন উসমান বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। এরা সবাই ছিলেন সুলতানুল মাশায়েখের খলিফা তার এ কাজ কম গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, তিনি এমন সব সাধককে প্রশিক্ষিত করেন, যারা দেশের বিভিন্ন অংশে খোদ নিজেরাই হেদায়েতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখতে সক্ষম ছিলেন। তাদের প্রশংসায় আমির খসরুর প্রশংসামূলক বেশ কিছু কবিতাও রয়েছে।
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দীন হজরত খাজার সুপ্রভাব প্রসঙ্গে লিখেছেন : ‘শায়খের পবিত্র অস্তিত্ব, তার ব্যক্তিত্বের রবকত এবং তার মকবুল দোয়ার ফলে এদেশের অধিকাংশ মুসলমান এবাদত তাসাওফ, ধার্মিক- তার দিকে ধাবিত হয়েছে এবং শায়খের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছে। সুলতান আলাউদ্দীন তার ঘরানার সদস্যবর্গসমেত শায়খের ভক্ত ও খাঁটি বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন। সাধারণ লোকজন ও বিশিষ্টজনেরা খাঁটি অন্তরে নেক কাজ আরম্ভ করেছিল কয়েক বছরে মদ, মাদকদ্রব্য সামগ্রী, অন্যায় পাপাচার, জুয়াবাজি, অশ্লীলতা এবং কুকর্ম ইত্যাদির নামগন্ধও ছিল না। লোকেরা কবিরা গুনাহকেও কুফরি কাজ মনে করতে থাকে। মুসলমানগণ লজ্জায় সুদখোরি ও মজুদদারি কারবার প্রকাশ্যে চালাতে পারত না এবং ভয়ে আতঙ্কে দোকানদারগণ মিথ্যা বলা থেকেও ওজনে কম দেওয়া, ভেজাল করা থেকে বিরত থাকতো। সুলতান আলাউদ্দীন এসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়ার ধর্মীয় -আধ্যাত্মিক প্রভাবে। তাছাড়া খাজা সাহেবের নিকট তওবা করে অনেক বিপথগামী পাপাচারে লিপ্ত লোক খাঁটি মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং বলা যায়, তার হাতে বেশি লোক ইসলাম গ্রহণ না করলেও বিপথগামীদেরকে সুপথে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এবং ইসলামে তাদেরকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখার ব্যাপারে তার অবদান অবিস্মরণীয়Ñবিস্ময়কর।
হযরত খাজার কিছু কারামত
হজরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.)-এর জীবনে বহু কারামত বা অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। জীবনী গ্রন্থাবলীতে এসব ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দেখতে পাওয়া যায়। তার শৈশবের কিছু অদ্ভুত কাহিনী নিবন্ধের শুরুতে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার একটি ভিন্ন রকমের কাহিনী দিয়ে রচনার উপসংহার টানছি, যা নি¤œরূপ :
সুলতান ফিরুজশাহ শৈশবে একবার খাজা সাহেবের দরবারে গমন করেন। খাজা দয়াবশত জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার নাম কি? জবাবÑ আমাকে কামাল উদ্দীন বলা হয়। খাজা আনন্দচিত্তে বললেন, “উমর ব-কামাল, নেয়ামত ব-কামাল, দওলত ব-কামাল” অর্থাৎ বয়স, নেয়ামত সম্পদ সবই পরিপূর্ণ হোক। হজরত খাজার এ দোয়া নিয়ে কামালউদ্দীন চলে যান। তার পরবর্তী জীবনে তিনি পরিপূর্ণভাবে তিনটি বস্তুই ভোগ করেছিলেন। আর তা এভাবে মোহাম্মদ তোগলকের মৃত্যুর পর গুজরাট ও সিন্ধুর সকল আমির-ওমারা সর্বসম্মতভাবে ফিরুজশাহকে বাদশাহ হতে বাধ্য করেন। কিন্তু তিনি বাদশাহী গ্রহণে অস্বীকার করে আসছিলেন। সেদিকে তার লোভ আকর্ষণ ছিল না। তিনি একজন দরবেশের মতো জীবনে আগ্রহী ছিলেন। সিংহাসন লাভ করার পর তিনি নব্বই বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি ৩৯ বছর অত্যন্ত ন্যায়নীতি ও সুখ্যাতির সাথে রাজত্ব করেন এবং সর্ব প্রকারের সৌভাগ্য তার জীবনকে সুখী-সমৃদ্ধ করেছিল। হজরত খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.)-এর দোয়ার বরকতে ফিরোজশাহ এ সৌভাগ্য জীবনের অধিকারী হয়েছিলেন।
খাজা সাহেবের দোয়ার বরকতে এরূপ সৌভাগ্যবান হয়েছিলেন আরেকজন তার নাম আলাউদ্দীন বাহমনি। বর্ণিত আছে যে, দাক্ষিণাত্য বাদশাহ আলাউদ্দীন বাহমনি শুরুতে অত্যন্ত দরিদ্র ছিলেন। তিনি দিল্লিতে এসে এক ব্রাহ্মণের বাড়িতে  চাকরি করেন। তার ক্ষেতখামারে কাজ করতে থাকেন। এক দিন তিনি হজরত খাজার দরবারে উপস্থিত হন। তখন হাজারো লোক প্রাত্যহিক নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেয়ে খাজার দরবার হতে ফিরছিল। তাদের মধ্যে শাহজাদা মোহাম্মদ তোগলকও ছিলেন। খানা খাবার পর তিনি যখন বিদায় নিয়েছিলেন তখন খাজা সাহেব তার এক খাদেমকে ডেকে বললেনÑ দেখ, একজন বাদশাহ চলে গেছেন। অপর বাদশাহ দরজায় দাঁড়ানো। তাঁকে ভেতরে আসতে দাও। খাদেম বাইরে দেখতে যায়। প্রত্যাবর্তন করে জানায়, দরজায় অপর কোনো বাদশাহর সোয়ারী তো নেই। খাজা সাহেব বললেন, চিনতে তোমার ভুল হতে পারে, তুমি আবার যাও, তাকে ভেতরে নিয়ে এসো। খাদেম পুনরায় গমন করে এবং ফিরে এসে জানায়, ময়লা কাপড় পরা এক ফকির ব্যতীত আর কেউ সেখানে নেই। খাজা নির্দেশ দিলেন, ‘ঐ ব্যক্তিকে পূর্ণ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে ভেতরে নিয়ে এসো।’ তখন পর্যন্ত আলাউদ্দীন শুধু হাসান নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি খাদেমের সঙ্গে হজরত খাজার হুজুরা- বৈঠকখানায় প্রবেশ করেন। খাজার ইফতারের জন্য একটি কুলছা (রুটি ছেঁকার চুলার মতো পাত্র) রাখা ছিল। তিনি কুলছার চত্বরে আঙ্গুলি রেখে তা হাসানকে প্রদান করেন এবং বলেন, এটি সে সা¤্রাজ্যের রাজকীয় চত্বর যা তুমি দাক্ষিণাত্যে পাবে। সেদিন হতে হাসানের ভাগ্য পরিবর্তন হতে থাকে এবং বহু বিপ্লবের পর সর্বশেষ দাক্ষিণাত্যে তিনি বাহমানি রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হন এবং তার বংশদরগণ বহুকাল যাবত দাক্ষিণাত্যে রাজত্ব করেন। রাজা-বাদশাহদের দরবারে উপস্থিত হওয়া মাহবুবে এলাহী খাজা নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.) মোটেই পছন্দ করতেন না, তিনি নিজেও শাহী দরবারে যাতায়াত যোগাযোগ রাখার ঘোর বিরোধী ছিলেন। কোনো সুলতান- বাদশাহর তার নিকট তার প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের জন্য আসার অনুমতি ছিল না। এরূপ আগ্রহীদের উদ্দেশে তার স্পষ্ট ঘোষণা ছিল : আমার দরবারে আসার দরকার নেই, আমি বাদশাহের জন্য গায়েবানা দোয়া করি এবং গায়েবানা দোয়াই আল্লাহর দরবারে অধিক কবুল হওয়ার আশা করা যায়। কোনো কোনো বাদশাহ বহু চেষ্টা-তদবির এবং রাজকীয় প্রভাব শক্তি প্রয়োগ করে খাজা সাহেবের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনের জন্য দরবারে হাজির হওয়ার অনুমতি পাননি। দেখা করার জন্য বেশি পীড়াপীড়ি করলে তিনি সংবাদ পাঠাতেন যে, হজরত খাজার গৃহের দুটি দরজা আছে। একটিতে বাদশাহ প্রবেশ করবেন অপর দরজা দিয়ে তিনি বের হয়ে যাবেন।
আমির খসরু ছিলেন মাহবুবে এলাহীর অতিপ্রিয় মুরিদ এবং প্রধান খলিফা। তার আসল নাম আবুল হাসান। উপাধি ইয়ামিনুদ্দোলা এবং কবি নাম খসরু। সুলতানদের দরবারি এবং নিজামী খানকার মধ্যে তিনি যথেষ্ট সম্মান মর্যাদার অধিকারী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে তার প্রভাবও ছিল। খাজা সাহেব তাকে ডাকতেন তুকুল্লাহ। তার বিভিন্ন কবিতায় তিনি খসরুর প্রশংসা করেছেন। খসরুকে তিনি প্রায় বলতেন ‘আমি স্বীয় অস্তিত্ব নিয়ে চিন্তিত থাকি কিন্তু তুর্ক তোমার জন্য কখনো চিন্তা করি না। কেয়ামতের দিন আমাকে যখন প্রশ্ন করা হবে যে, আমলনামা পেশ কর, তখন আমি তোমাকে পেশ করব।’
হিজরি ৭২৫ সালের ১৭ রবিউসসানি বুধবার আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে ৯৩ বছর বয়সে হজরত খাজা মাহবুবে এলাহী ইন্তেকাল করেন। শায়খ আবদুল হক মোহাম্মদ দেহলভী (রহ.)-এর মতে, হিজরি ৭২৫ সালের ১১ রবিউল আওয়াল বুধবার সূর্যোদয়কালে ইন্তেকাল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম প্রচার
আরও পড়ুন