Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : বৈশাখী মেলা অথবা হিন্দুদের বাৎসরিক মেলায় চটপটি বা খাবারের দোকান করা যাবে কি?
উত্তর : মেলায় করা যাবে। সরাসরি পূজার উৎসবে না করাই বাঞ্ছনীয়। তবে, পুজা উপলক্ষে নিজের কেনাকাটা বৃদ্ধি বা ব্যবসা ভালো হলে এতে কোনো দোষ নেই।
প্রশ্ন : অনেক দিন আগে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বলেছিলেন যে, ফজর নামাজের ফরজ নামাজে কমপক্ষে দুই রাকাতে ৪০ আয়াত পড়া সুন্নত। আমি জানতে চাই যে,
১) উনি কি ঠিক বলেছেন ?
২) যদি ঠিক বলে থাকেন, আমার কোন সুরারই ৪০ আয়াত মুখস্থ নাই, যদি আমি ৫-১০টি সুরা মিলিয়ে ৪০ আয়াত পড়ি তাহলে কি আমার নামাজ হবে ?
উত্তর : নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজে দীর্ঘ, মধ্যম ও হ্রস্ব সূরা পাঠের নিয়ম আছে। এ নিয়ম মানা সুন্নাত। আলেম হাফেজ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এ নিয়ম মানা অনেক সময় সম্ভব হয় না। যারা জামাতে নামাজ পড়েন, যোগ্য ইমাম হলে এ সুন্নাত তাদের আদায় হয়ে যায়। একা পড়লে নিজের সাধ্যমত পড়লেও চলে। তাতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না। সহীহ পড়া অল্প ভালো। লম্বা পড়তে গেলে যার কেরাত অশুদ্ধ তার সুন্নাত আদায়ের চেয়ে নামাজ নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে বেশি। এটি ভুল কেরাতের জন্য। অতএব, আপনি নিজের অবস্থা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিন। দীর্ঘ, মধ্যম ও হ্রস্ব সূরা নির্ধারিত আছে। একটানা চল্লিশ আয়াত বা কমপক্ষে তিন আয়াত এমন নিয়ম নিজ নিজ ক্ষেত্রে পালনের জন্য। অনেক সূরা একসাথে করে তেলাওয়াত দীর্ঘ করার নিয়ম নেই। আপনি স্বাভাবিক ভাবে নামাজ পড়বেন, এটাই ঠিক। তবে ইচ্ছা করলে নফল নামাজে নিজের জানা বহু সূরা বা তরতীব অনুযায়ী বহু আয়াত জোড়া দিয়েও পড়তে পারেন। ফরজ নামাজে এভাবে না পড়ে আল্লাহর দেওয়া সাধারণ ছাড় গ্রহণ করাই উত্তম। যেখানে আল্লাহ বলেছেন, সূরা ফাতিহার পর কোরআনের যেটুকু তোমার সহজ মনে হয়, ততটুকু কেরাত পড়। এ নিয়ম অনুসরণই সাধারণ মুসল্লির জন্য উত্তম।
প্রশ্ন : কাজি এবং একজন সাক্ষী দিয়ে কি বিয়ে সহিহ হবে?
উত্তর : কাজি যদি একজন সাক্ষী হন, তাহলে অন্যজনসহ তো সাক্ষী দু’জনই হলেন। অতএব, বিবাহ সহিহ হবে। সাক্ষী কমপক্ষে দু’জন হতে হয়। প্রয়োজনে তাদের নাম ঠিকানা লিখতে হয়। মূলত শরীয়তে সাক্ষী থাকাই জরুরী। এ সাক্ষী মসজিদ বা বিয়ের মজলিসের সব লোকই হতে পারে। যেখানে বিয়ে পড়ানো হয়, সেখানকার সব মানুষ যখন সাক্ষী তখন আলাদা সাক্ষীর নাম ঠিকানা ও দস্তখত শরীয়তে জরুরী নয়। এটি আইনের প্রয়োজনে রাখা হয়। কমপক্ষে দু’জন জরুরী। নাহয় বিয়ে সহিহ হবে না। প্রশ্নের কাজি সাহেবও একজন সাক্ষী বলে গণ্য হবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ