পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী হামলায় সিরিয়ার রাক্কা শহরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৬ সদস্য নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাক্কায় কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনীর সদরদপ্তরে ওই আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) প্রধান মজলুম আবদি আইএসের ওই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এসডিএফ গণমাধ্যম কেন্দ্রের প্রধান ফরহাদ শামি বলেন, রাক্কায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হয়েছেন। অপর এক হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। ২০১৪ সালে উত্থানের পর সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিজেদের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে আইএস। সেসময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু তিন বছরের মধ্যে, ২০১৭ সালে সিরিয়া অংশে অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা হারায় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। তার দুবছর পর, ২০১৯ সালে ইরাকের অধিকৃত অঞ্চলগুলোও হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ভূখণ্ডের দখল হারিয়ে ফেললেও, গোষ্ঠীটির গোপন হামলাকারী দল বা ‘স্লিপার সেল’ এখনও সক্রিয় আছে। জাতিসংঘের ধারণা, সিরিয়া ও ইরাকে এখনো ৬ থেকে ১০ হাজার আইএস সদস্য রয়েছেন। তারা সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকেন। আইএসের আঞ্চলিক সহযোগী গোষ্ঠিীগুল বিশ্বের অন্যান্য সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, আইএসের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুপ্রতিষ্ঠিত নেটওয়ার্কগুলো এখনো আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও লেক চাদ এলাকায় রয়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে উত্তর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হন আইএসের সাবেক শীর্ষ নেতা আবু ইব্রাহিম আল-কুরায়েশি। আর বছরের শেষ দিকে নিহত হন আবু হাসান আল-কুরায়েশি। ২০১৯ ইদলিবেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছিলেন আবু ইব্রাহিমের পূর্বসূরী আবু বকর আল বাগদাদি। এ বছরের শুরুতেই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকা শহরে এসডিএফ পরিচালিত আল-সিনা কারাগারে ভয়াবহ হামলা চালায় আইএস। এতে প্রায় ৫০০ কারাবন্দী নিহত হন, যাদের মধ্যে ৩৭৪ জনই আইএসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।