পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক বছরে দেশে কৃষকের গোয়ালে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে প্রকাশিত ‘কৃষি শুমারি ২০১৯’ এর রিপোর্ট প্রকাশ হয়। কৃষি শুমারির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুমারির প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এক বছরে কৃষকের গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ লাখ। ২০১৮ সালে সারা দেশের পল্লী ও শহর এলাকায় গরু ছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ৯৪ লাখে। একইভাবে ২০১৮ সালে ছাগলের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৬৩ লাখ, যা ২০১৯ সালে হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখে। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল শুমারির কাজ পরিচালনা করা হয়। জমির মালিকানা, পরিচালিত জমির ব্যবহার, ফসল, কৃষিতে কর্মসংস্থান, কৃষি যন্ত্রপাতির সংখ্যা ও প্রাণিসম্পদের তথ্য জরিপে উঠে এসেছে।
শুমারিতে দেখা গেছে, এক বছরে হাস মুরগির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ কোটি। ২০১৮ সালে হাস-মুরগির সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৯৪ লাখ। এক বছরে মহিষের সংখ্যা ৯৫ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬টিতে। ২০১৯ সালের শুমারি অনুযায়ী, খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। কৃষি খানা ১ কোটি ৬৮ লাখ, কৃষি মজুর খানা ৯২ হাজার। আর মৎস্যজীবী খানার সংখ্যা ১২ লাখ।
অনুষ্ঠানে জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, দেশে সাধারণ খানার সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষি খানা সে হারে বাড়েনি। দেশে নিট আবাদি জমির পরিমাণ ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর, যার মধ্যে নিট অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১ কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর এবং স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।
তিনি বলেন, শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের অধীন জমি কিছুটা হ্রাস পেলেও আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের অধীন জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ শুমারিতে ফসলের নিবিড়তা ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।
কৃষি শুমারি ২০১৯-এ মোট মৎস্য চাষাধীন জমির পরিমাণ ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একর। ব্যবহার ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।
শুমারি রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
শুমারিতে বলা হয়, নিট আবাদি জমি হ্রাস পেয়েছে ০ দশমিক ২৩ শতাংশ আর নিট অস্থায়ী জমি হ্রাস পেয়েছে ০ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এতে বলা হয়, আউশ, আমন ও বোরর চাষাধীন জমির পরিমাণ যথাক্রমে ২৪ লাখ, ১ কোটি ১৯ লাখ ও ১ কোটি ১০ লাখ। এছাড়া গম, পাট, আলু, ভুট্টা, চাষাধীন জমির পরিমাণ যথাক্রমে ৮, ১৬, ১১ ও ১০ লাখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।