Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হলিউড-বলিউডের মতো বড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি গড়তে চায় সউদী

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সম্প্রতি চলচ্চিত্র প্রযোজনার দিকে ঝুঁকেছে সউদী আরবের বেশ কয়েকটি মিডিয়া কোম্পানি। এরই ধারবাহিকতায় চলতি বছর মার্কিন প্রযোজনা সংস্থা এজিসি’র সঙ্গে যৌথভাবে ‘ডেজার্ট ওয়ারিওর’ নামের একটি সিনেমায় প্রযোজনা করে সউদীর সব থেকে বড় মিডিয়া কোম্পানি মিডিল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার (এমবিসি)। সপ্তম শতকের হাইন্দ নামের এক সউদী রাজকুমারির বীরত্বগাঁথা নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছেন সউদী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তারকা আয়শা হার্ট ও ক্যাপটেন অ্যামেরিকার তারকা অ্যান্থনি ডুয়েন ম্যাকি। কয়েক বছর ধরে, মধ্যপ্রাচ্য চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রযোজনার দিকে মনোনিবেশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে সৌাদির টেলিভিশনখাতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। গবেষণা সংস্থা ওমদিয়ার কনস্টান্টিনোস পাপাভাসিলোপোলোস বিভাগ বলছে, ২০২৩ সালে সউদী আরবে দ্বিগুন করা হবে নিজস্ব ভাষায় নির্মিত টিভি সিরিজের সংখ্যা। তাছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে সউদী সরকার কমপক্ষে ১০০টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে ও প্রযোজনা করতে চায়। বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে চলচ্চিত্র নির্মাণের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল মিশরকে। কিন্তু দেশটির কর্তৃত্ববাদী প্রশাসনের কারণে হলিউড ও বলিউডের মতো বড় বড় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি সেখানে শুটিং করা বাদ দিয়ে দিয়েছে। মিশরের এমন পরিস্থির সুযোগ নিয়েই সউদী প্রশাসন তাদের দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়া হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। গত পাঁচ বছরে সউদী সরকার দেখানোর চেষ্টা করেছে যে, তারা মিডিয়ার ওপর কঠোরতা কমিয়ে এ খাতের অগ্রগতিতে আগ্রহী হয়েছে। তাই তো কয়েক বছর আগেও যে দেশে সিনেমা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা ছিল, এখন সেখানেই শুটিংয়ের জন্য দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। এরই মধ্যে দেশটিতে হলিউডের বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিং হয়েছে, এখন বলিউডের একাধিক সিনেমা শুটিংয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৭ সালে অর্থসামাজিক সংস্কারের লক্ষ্যে ‘ভিশন-২০৩০’ হাতে নেয় সউদী সরকার। এ পরিকল্পনার আওতায় দেশটির শিল্পে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সেগুলোরই একটি হলো, সিনেমা প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। এমনকি, সউদী সরকার চলচ্চিত্র শিল্পে ছয় হাজার ৪০০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে আর্থসামাজিক সংস্কারের অংশ হিসেবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছরের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো সউদী আরবে সর্বসাধারণের জন্য সিনেমা প্রদর্শনীর অনুমতি দেওয়া হয়। রাজধানী রিয়াদের এএমসি সিনেমা হলে প্রদর্শন করা হয় মার্ভেল স্টুডিওর সিনেমা ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’। তবে সউদীর মতো ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশে সিনেমা নির্মাণ ও প্রচারে কিছু বাধা রয়েই গেছে। যেমন, সউদীর স্থানীয় কলাকুশলীদের চলচ্চিত্র নির্মাণের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। ফলে এ খাত সংশ্লিষ্টদের বিদেশি সহায়তা ও জ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। দ্য ইকোনমিস্ট।



 

Show all comments
  • hassan ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:০০ পিএম says : 0
    যেসব মুসলিমরা নাটক-সিনেমা গান বাজনা নাচানাচি দেখে তাদের জন্য আল্লাহ জাহান্নাম এইসব নাটক-সিনেমা গান বাজনা নাচানাচি দেখাবে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Mohammed Khan Khan ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:১৫ এএম says : 0
    May Allah SWT protect them from going to Hell. The rulers are running towards that.
    Total Reply(0) Reply
  • Joy ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:২২ এএম says : 0
    পিপিলিকর পাকা গোজায়ে মরিবার তোরে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Mohammed Khan Khan ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:০৯ এএম says : 0
    Remember the Saudi Ruler, Allah SWT is watching everything. Definitely He will punish you in this world and in the life hereafter, as He has punished Firaun.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ