মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান গতকাল বলেছেন যে, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) কামার জাভেদ বাজওয়ার সাথে তার ‘ব্যক্তিগত’ বিরোধ রয়েছে, তবে তিনি যদি আবার ক্ষমতায় আসেন তবে তিনি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না।
লাহোরে জামান পার্কের বাসভবনে কাউন্সিল অব পাকিস্তান নিউজপেপার এডিটরস (সিপিএনই) এর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমরান বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল অসীম মুনির নিজেই বলেছেন যে, তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। তবে তিনি আরো বলেন, বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করাই হবে তার নিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
তিনি বলেন যে, যখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ডিজি আইএসআই পদ থেকে অপসারণ করা হয়, তখন এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, পিটিআই সরকারকে পতনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘আমি জেনারেল বাজওয়াকে বলেছিলাম যে, সরকার পতনের পরিকল্পনা সফল হলে, কেউ দেশের অর্থনীতি পরিচালনা করতে পারবে না’ -তিনি যোগ করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সাবেক সেনাপ্রধানকে ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, কীভাবে শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে কারণ তার নাম ১৬ বিলিয়ন রুপি দুর্নীতির মামলায় রয়েছে। তবে, তিনি যোগ করেছেন, তিনি পরে জানতে পেরেছিলেন যে, জেনারেল (অব.) বাজওয়ার জন্য দুর্নীতি একটি বিষয় নয়।
তিনি বলেন, ‘জেনারেল বাজওয়া বলতেন যে, আলিম খানকে [পাঞ্জাবের] মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। আমি তার অবৈধ দখলের বিষয়ে জানতে পেরেছি তাই আমি বলেছিলাম কিভাবে তাকে মুখ্যমন্ত্রী করা যায়’।
ইমরান বলেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি আরো ভাল পারফর্ম করত যদি করোনভাইরাস মহামারি না থাকত এবং চীন দুই বছরের জন্য লকডাউন না থাকত।
দেশের অর্থনীতি নিম্নমুখী, মানুষের আয় কম, এ অবস্থায় ঋণ ফেরত কিভাবে হবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আইনের শাসন না থাকলে দেশ উন্নতি করতে পারে না।
‘আমি জেনারেল বাজওয়াকে বলেছিলাম যে, আমরা যদি ১০ থেকে ১২ জন শীর্ষ দুর্নীতিবাজকে ধরি, তবে সবকিছু সঠিক পথে ফিরে আসবে’।
ইমরান বলেন, জাতীয় জবাবদিহিতা ব্যুরো (এনএবি) ১৯৯৯ সালে গঠিত হয়েছিল, কিন্তু তারপর থেকে দুর্নীতি বেড়েছে নাকি কমেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত। ‘জেনারেল বাজওয়ার সাথে আমাদের একটি শালীন সম্পর্ক ছিল কিন্তু পরে কী হয়েছিল তা আমি জানি না’।
তোশাখানা মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পিটিআই প্রধান বলেন, তার আমলে দুর্নীতি হলে বিরোধীরা তোশাখানার বিষয়টি তুলে ধরার চেয়ে তা তুলে ধরত।
‘তোশাখানা কোনো জাদুঘর নয়। আমি ঘড়িটি না কিনলে এটি নিলামের সময় অন্য কেউ কিনে নিত’ তিনি বলেন, নওয়াজ শরীফ এবং আসিফ আলী জারদারিও তোশাখানা থেকে দামি গাড়ি কিনেছিলেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ফলাফল দিতে না পারায় এবার তিনি দুর্বল সরকার গঠন করবেন না। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।