মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা দীর্ঘ বিরতিতে সুনির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণের কৌশল একটি কার্যকর ওজন কমানোর পদ্ধতি হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ খাদ্যাভাস পেটে অমøপ্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং একটি দীর্ঘ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘণ্টা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা বা সপ্তাহে কয়েকদিন সারা দিনে মাত্র একবার খাবার খাওয়া, যা মানবদেহের স্নেহপদার্থ বা চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। যদিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়বেটিসের জন্য কার্যকর ওষুধ রয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য, একটি নতুন সমীক্ষা বলছে যে, রোগীরা খাদ্যকৌশল প্রয়োগ করে সম্পূর্ণভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছে। এ ফলাফল বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৩শ’ ৭০ মিলিয়নেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের ওপর একটি বড় প্রভাব ফেলতে পারে যারা এই রোগে ভুগছেন।
১৪ ডিসেম্বর এন্ডোক্রাইন সোসাইটির জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা সমীক্ষা অনুসারে, ডায়াবেটিস ওষুধ বন্ধ করার অন্তত এক বছর পর সম্পূর্ণ ডায়াবেটিসমুক্ত হিসেবে রক্তে এইচবি১সি (গড় শর্করা)-এর মাত্রা ৬.৫ শতাংশের এর কম হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
চীনের চাংশার হুনান এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ডংবো লিউ বলেন, ‘টাইপ-২ ডায়াবেটিস একটি স্থায়ী, চিরদিনের রোগ নয়। ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব, যদি রোগীরা তাদের খাদ্য এবং ব্যায়ামের অভ্যাস পরিবর্তন করে ওজন কমায়।’ লিউর দলের বিজ্ঞানীরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ৩৬ জনের মধ্যে ৩ মাসের জন্য ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং পরিচালনা করেন এবং দেখেন যে ওষুধ এবং ইনসুলিন গ্রহনকারী সহ প্রায় ৯০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেছে, যা তাদের ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এসব লোকের মধ্যে পঞ্চান্ন শতাংশ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছে, তাদের ডায়াবেটিসের ওষুধ বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটি কমপক্ষে এক বছর ধরে এটি বজায় রেখেছে।
এ নতুন গবেণষার ফলাফলগুলো প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করে যে, ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি শুধুমাত্র তাদের মধ্যেই অর্জন করা যেতে পারে, যাদের ডায়াবেটিস সময়কাল কম (০-৬ বছর)। প্রকৃতপক্ষে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ৬৫ শতাংশ, যারা ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেয়েছেন, তাদের ডায়াবেটিসের সময়কাল ৬ বছরের বেশি (৬-১১ বছর) ছিল। লিউ বলেন, ‘ডায়াবেটিসের ওষুধগুলো ব্যয়বহুল এবং অনেক রোগীর জন্য একটি বাধা, যারা তাদের ডায়াবেটিস কার্যকরভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন। আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অবলম্বনের পর ওষুধের খরচ ৭৭ শতাংশ কমেছে’। সূত্র : সাইটেক ডেইলি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।