Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গবেষণাগারে তৈরি হবে হাজার হাজার শিশু!

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:১২ পিএম

বিশাল এক গবেষণাগার। তাতে পাশাপাশি বসানো রয়েছে হাজার হাজার কাচের গোলকের মতো কিছু যন্ত্র। এসব আধুনিক যন্ত্রের ভেতরেই তৈরি হচ্ছে মানবশিশু। এমনই এক ভবিষ্যতের কথা শোনালেন ইয়েমেনের মলিকিউলার বায়োটেকনোলজিস্ট হাশেম আল-ঘাইলি। সম্প্রতি হাশেম অ্যানিমেশনে তৈরি একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছেন, অদূর ভবিষ্যতে বাস্তবে এমন গবেষণাগার তৈরি করা খুব একটা কঠিন নয়। ওই বিজ্ঞানীর তৈরি করা এ ভিডিও ইতোমধ্যেই অনলাইনে ঝড় তুলেছে।

হাসেম তার কল্পনাপ্রসূত এই গবেষণাগারটির নাম রেখেছেন এক্টোলাইফ। এই গবেষণাগারে থাকবে মোট ৭৫টি কক্ষ। প্রতিটি কক্ষে থাকবে ৪০০টি কৃত্রিম গর্ভ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে গবেষণাগারে একইসঙ্গে ৩ হাজার শিশুর জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। যে কাচের গোলকের মতো জিনিস ভিডিওতে দেখা গেছে, সেগুলোই হলো কৃত্রিম গর্ভ বা গ্রোথপড। এই কৃত্রিম গর্ভের ভিতরে আইভিএফ পদ্ধতিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে তৈরি করা হবে ভ্রূণ। সেই ভ্রূণ বড় হয়ে উঠবে এরই ভিতরে। জন্মের আগ পর্যন্ত শিশুর রক্তচাপ থেকে হৃদ্‌স্পন্দন, সবই মাপা যাবে এই যন্ত্রে।

বিজ্ঞানীর দাবি, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে লাখ লাখ নারীর মৃত্যু হয় সন্তান প্রসব করতে গিয়ে। বিভিন্ন জটিলতায় মৃত্যু হয় বহু নবজাতকেরও। নতুন এই পদ্ধতিতে একেবারে সমাপ্ত হয়ে যাবে সেই সমস্যা। শুধু তা-ই নয়, নিজের সন্তানের মধ্যে বাবা-মা কোন কোন গুণ দেখতে চান তা-ও ঠিক করা যাবে শিশুর জন্মের আগেই। কৃত্রিমভাবে জিনগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ঠিক করা যাবে হবু সন্তানের গায়ের রং, উচ্চতা, শারীরিক গঠন, গলার স্বর কিংবা বুদ্ধিমত্তার মতো বিষয়গুলো। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে অনেক জিনগত রোগও নির্মূল করা যাবে বলে দাবি করেছেন ওই বিজ্ঞানী। এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে যে দম্পতিরা সন্তান নিতে পারছেন না ও যেসব দেশ জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যায় ভুগছে, তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে এই ব্যবস্থা, এমনই মত হাশেমের।

কিন্তু গোটা বিষয়টি দেখে তো মনে হচ্ছে কোনো কল্পবিজ্ঞানের ছবির অংশ, বাস্তবে কি আদৌ এমনটা সম্ভব? কিন্তু, ওই বিজ্ঞানী বলছেন, সম্ভব। কারণ এমন প্রযুক্তি রয়েছে হাতের কাছেই। সমস্যা শুধু অনুমতি নিয়ে। এভাবে পুরোপুরি কৃত্রিমভাবে সন্তান উৎপাদন করা নিয়ে নানা রকম নৈতিক জটিলতা রয়েছে। কোনও মানুষকে জন্মের আগেই একটি গবেষণার বস্তু করে তোলা নিয়ে আপত্তি রয়েছে নানা মহলে। প্রকৃতিকে এড়িয়ে মানবদেহে জিনগত বদল আনা বিবর্তনের পথে ঝুঁকির কাজ হতে পারে বলেও মত অনেকের। তাই বিষয়টি এখনও আইনসিদ্ধ নয়। তবে আইন যদি সম্মতি দেয়, তবে এমন কৃত্রিম প্রজননের দিন খুব বেশি দূরে নয়, মত হাশেমের। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা



 

Show all comments
  • আলহাজ্ব ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫৭ পিএম says : 0
    মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মানুষের জম্মহবে কৃত্রিম ভাবে একটি কৃত্রিম গর্ভধারণের মেসিনের মধ্যে। অটোমেটিক হয়ে যাবে?? কৃত্রিম দেহে শরীরের গঠন বিশালাকার আযোজন শিরা উপশিরা মস্তিষ্ক হ্নদপিন্ড শরীরের গঠন হাড় মাংস চামড়া চোখ নাক কান ইত্যাদি কে গঠন করবেন? কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তৈরী হবে??কে ঐ কৃত্রিম শিশুর শরীরে রুহ বা জান দিবেন। কে রক্ত থেকে শরীরের আকৃতিতে দেহ রুপান্তর করবেন। এর নাই জ্ঞান ও বিজ্ঞান বিজ্ঞানী এখানেই পেল00। মহাবিজ্ঞানী আল্লাহ্ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার দেহে জীবনের পরিপূর্ণ উপাদানগুলো দিয়েছেন।মানুষ জ্বীন আল্লাহ্ সৃষ্টি করে ছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে। মানুষ নিজের সৃষ্টি ভূলে গিয়ে সৃষ্টিকে চ‍্যালেঞ্জ করছেন।পৃথিবীর সকল বিজ্ঞানী বিজ্ঞান একত্রিত করে পারবে একজন মৃত মানুষ কে জীবন দিতে। পারবে কাসের বাক্সে রক্ষিত কৃত্রিম প্রজনন শিশুটির রুহ দেহ দিতে?? এইগুলো মানুষের জ্ঞানের বাহিরে এইগুলো আল্লাহর ক্ষমতা আল্লাহর আদেশ আল্লাহর ইচ্ছা ইত্যাদি। বতর্মান শয়তানের যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিস্কার মানুষের নৈতিকতা আস্তে আস্তে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এদের বিরাট অংশ নাস্তিক এদের নিকট পৃথিবী একমাত্র জীবন। অথচ আল্লাহর বিশালাকার নিখুঁত সৃষ্টির নিদর্শন গুলো চুখে পড়েনা এরা অন্ধ বধির চুখ থাকতেও এরা এইসব দেখেনা। জীবন মৃত্যু আল্লাহর করুনা দয়ার উপরেই নির্ভরশীল। মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর সৃষ্টির ঐ মাথার উপর তের লক্ষ পৃথিবী ধারণক্ষমতার মতবড় সূর্য কে সৃষ্টি করেছেন। একেবারেই শূণ্যের উপরে দাঁড়িয়ে পৃথিবী কে সমগ্র সৌরজগতের মাঝে আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন।শক্তিশালী বিশালাকার সূর্যের মালিক কে? বিশালাকার সৃষ্টি রহস্য মাঝে আজকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১% কি জানতে পেরেছেন? মহা বিজ্ঞানী কে জানতে হলে পবিত্র হতে হবে। পবিত্র কোরআন মাঝে মহাবিজ্ঞানময় কোরআন এর মাঝে আল্লাহর পবিত্রতা প্রকাশ পাবে। আলহামদুলিল্লাহ্।
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ নুর ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৩ পিএম says : 0
    এইসব বিজ্ঞানী হচ্ছে জ্ঞান পাপী।
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ নুর ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:০৩ পিএম says : 0
    এইসব বিজ্ঞানী হচ্ছে জ্ঞান পাপী।
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Azam ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:১৪ এএম says : 0
    পলটি মুরগির মত
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Azam ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:১৩ এএম says : 0
    পলটি মুরগির মত
    Total Reply(0) Reply
  • Ali Azam ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:১৩ এএম says : 0
    পলটি মুরগির মত
    Total Reply(0) Reply
  • MD MAIN UDDIN ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:০৩ পিএম says : 0
    এগুলার দিকে যারা মগ্ন হবেন তারাই জাহান্নামী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়েমেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ