Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চোখের ভেতরে ট্যাটু, অন্ধ হওয়ার পথে তরুণী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ২:৪২ পিএম

পছন্দের মডেলের অনুকরণে চোখের ভেতরে ট্যাটু করিয়ে এবার চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে চলেছেন অনায়া নামে আয়ারল্যান্ডের এক তরুণী। অস্ট্রেলিয়ার মডেল অ্যাম্বার লুক নিজের চোখের মণিতে ট্যাটু করিয়ে নজর কেড়েছিলেন অনেকের। তা দেখেই তার ভক্ত আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা অনায়া পিটারসন উদ্বুদ্ব হন। অ্যাম্বারকে অনুকরণ করতে গিয়ে ৩২ বছর বয়সি অনায়া সিদ্ধান্ত নেন চোখে ট্যাটু করাবেন। কিন্তু সেই ট্যাটুর কালি থেকে চোখে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেই প্রতিক্রিয়া এতই প্রবল যে চিকিৎসকদের আশঙ্কা, চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারেন অনায়া।

অস্ট্রেলিয় মডেল অ্যাম্বারও ট্যাটু করানোর পর ৩ সপ্তাহের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর ফের তিনি নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। তা দেখে আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টের বাসিন্দা অনায়াও ভেবেছিলেন প্রথমে এক চোখে ট্যাটু করাবেন। যাতে কোনও সমস্যা হলেও অন্য চোখে দেখতে অসুবিধা না হয়। সেই মতো ২০২০ সালের জুলাই মাসে প্রথম বার নিজের ডান চোখে নীল রঙের ট্যাটু করান অনায়া। তখন চোখ শুকিয়ে যাওয়া এবং মাথাব্যথা বাদে আর তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। বিশেষ কোনও সমস্যা না হওয়ায় সেই বছরই ডিসেম্বর মাসে অনায়া সিদ্ধান্ত নেন, অন্য চোখেও ট্যাটু করানোর। বাম চোখে বেগুনি রঙের ট্যাটু করান তিনি।

দ্বিতীয় চোখে ট্যাটু করানোর পর প্রায় ৮ মাস কোনও রকম সমস্যা হয়নি চোখে। কিন্তু ২০২১ সালের আগস্ট মাসে এক দিন ঘুম থেকে উঠে অনায়া দেখেন চোখ ফুলে ঢোল। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, ট্যাটুর কালি থেকেই চোখে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি। তারা এ-ও বলেন, সেই কালি থেকে ছানি পড়ছে অনায়ার চোখে। সাধারণ ছানির ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান রোগীরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যেহেতু ট্যাটুর কালি দূর করার কোনও উপায় নেই, তাই বার বার ছানি পড়তেই থাকবে। অস্ত্রোপচার করলেও ঠিক হবে না এই সমস্যা। শখের ট্যাটু থেকেই দৃষ্টিশক্তি হারানোর এমন আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ভেঙে পড়েছেন অনায়া। তার খোদোক্তি, ‘এমনটা হবে জানলে কখনওই ট্যাটু করাতাম না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আয়ারল্যান্ড
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ