মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতা শহর নিয়ে লেখা তার উপন্যাস ‘সিটি অফ জয়’ যেমন বহু পাঠকের প্রিয়, তেমনই পছন্দ হয়নি অনেকের। পরে যে লেখা অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছিল। সেই ডমিনিক ল্যাপিয়ের মারা গেলেন সোমবার। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে তার, জানিয়েছেন বিশ্বখ্যাত লেখকের স্ত্রী। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ডমিনিক ল্যাপিয়েরকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। সিটি অফ জয় থেকে যে রয়্যালটি পেয়েছিলেন, তা ভারতের মানবিক প্রকল্পের জন্য দান করেছিলেন তিনি।
১৯৩১ সালের ৩০ জুলাইয়ে চ্যাটেলিলনে জন্ম হয় ডমিনিকের। দ্রত লেখক হিসেবে ফরাসি সাহিত্য মহলে নিজের জায়গা করে নেন। ল্যাপিয়ের এবং আমেরিকান লেখক ল্যারি কলিন্সের লেখা ছয়টি বইয়ের প্রায় ৫০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘ইজ প্যারিস বার্নিং?’ যেটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালে। বিখ্যাত এই বইটিকে নিয়েও পরবর্তীকালে সিনেমা তৈরি হয়। ‘সিটি অফ জয়’ প্রকাশিত হয়েছিল কুড়ি বছর পরে ১৯৮৫ সালে। কলকাতা শহরের এক রিক্সাচালকের কষ্টের জীবনের কথা তুলে ধরা হয়েছিল এই বইটিতে।
‘সিটি অফ জয়’ উপন্যাসটিকে ভিত্তি করে ১৯৯২ সালে সিনেমা তৈরি হয়েছিল। সেই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ওম পুরি, সাবানা আজমি, প্যাট্রিক সোয়েজ প্রমুখ। পরিচালনা করেন রোল্যান্ড জোফ। লাপিয়ের তার ‘সিটি অফ জয়’ থেকে পাওয়া রয়াল্টির টাকা ভারতে মানবিক প্রকল্পগুলিতে অর্থ সাহায্যের জন্য দান করেছিলেন।
২০০৫ সালে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বইয়ের পাঠক ও সিনেমার দর্শকদের ধন্যবাদ জানান ডমিনিক। তিনি জানান, এর ফলে ২৪ বছরে কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত ৯,০০০ শিশুর যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও এক মিলিয়ন যক্ষ্মা রোগীর রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়েছে। ২০০৮ সালে ল্যাপিয়েরকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করে ভারত সরকার। উল্লেখ্য, ডমিনিক ল্যাপিয়েরের ‘সিটি অফ জয়’ বিখ্যাত যেমন, তেমনই বিতর্কিতও বটে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।