পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কাগজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আমদানীকৃত ও দেশী কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সংবাদপত্র শিল্প আজ গভীর সঙ্কটে। এ অবস্থায় ‘দি ফোর্থ এস্টেট‘ খ্যাত এই সেবা শিল্পটিকে বাঁচাতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তা না হলে ঐতিহ্যবাহী এই সেবা শিল্পটি বন্ধ হয়ে পড়বে এবং এর সাথে জড়িত হাজার জাজার সাংবাদিক ও কর্মী বেকার হয়ে পড়বে। নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংবাদপত্র শিল্পের বর্তমান সংকটাপন্ন অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের কাছে সহযোগিতা দাবি করেছে। নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, কাগজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় আমদানীকৃত ও দেশী কাঁচামালের মূল্য শতভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় সংবাদপত্রের ভবিষ্যত নিয়ে আমরা শঙ্কিত। দীর্ঘদিন ধরেই সেবা শিল্প হিসেবে ঘোষিত সংবাদপত্র শিল্প এখন চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে সংবাদপত্র তৈরি ব্যয় ও বিক্রি মূল্যের ব্যবধান একটা প্রধান কারণ। বর্তমানে পূর্ব ইউরোপে চলমান যুদ্ধ বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে সংবাদপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্য এমনভাবে বৃদ্ধি করেছে যে এই সেবা শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কিছুদিন পূর্বে সংবাদপত্রের দাম বাড়ানো হলেও এই অবস্থার উন্নতি হয়নি। এক কপি সংবাদপত্র তৈরিতে ব্যয় হয় গড়ে বাইশ টাকা। সেখানে বিক্রিমূল্য বারো টাকা, কিন্থু তার শতকরা পয়ত্রিশভাগ হকারদের হতে চলে যায়। বাকি ঘাটতি বিজ্ঞাপন থেকে পূরণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ পত্রিকার ক্ষেত্রেই এই তৈরি-খরচ ও বিক্রিমূল্যের পার্থক্য মেটানো সম্ভব হয় না।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংকটকালে, তথা করোনা মহামারীর সময়েও, সেবা শিল্প হিসেবে সংবাদপত্র শিল্প ঘোষিত কোনো ধরণের প্রণোদনা পায়নি। বিভিন্ন ধরণের করের বোঝা এ পরিস্থিতিকে আরও ঘোরতর করেছে। উপরন্তু, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কাছে বিজ্ঞাপনবাবদ সংবাদপত্রসমূহের পাওনা প্রায় একশত কোটি টাকা দিনের পর দিন বকেয়া থেকে যাচ্ছে। বহু তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও এই বকেয়া পরিশোধিত হয়নি ।
নোয়াব দীর্ঘদিন ধরেই এই সেবা শিল্পটির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের শুল্ক ও ভ্যাট কমানো বা রহিত করার দাবি জানিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই রুগ্ন শিল্পকে রক্ষার দায়িত্ব এখন সরকারকেই নিতে হবে। তা না হলে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী এই সেবা শিল্পটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং পেশার সঙ্গে যুক্ত শত-সহস্র সাংবাদিক ও কর্মী বেকার হয়ে পড়বেন। এ বিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি নোয়াব প্রত্যাশা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।