পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবাদপত্র শিল্পকে রক্ষার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও জরুরি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। একই সঙ্গে সরকারের কাছে পাওনা বিপুল বিজ্ঞাপনের বিল দ্রæত দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানায়। গতকাল এক বিবৃতিতে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠনটি এ দাবিজানায়।
বিবৃতিতে নিউজপ্রিন্টের ভ্যাট ও করপোরেট ট্যাক্স কামানোসহ সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে নোয়াব। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আজকে কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রভাবে অর্থনীতি থমকে পড়েছে। করোনা সংকটের প্রভাব সংবাদপত্র শিল্পের ওপরে পড়েছে মারাত্মকভাবে। দেশের সংবাদপত্র শিল্প প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সকল পত্রিকা বিক্রি সংখ্যা অনেক কমে গেছে। একইভাবে বিজ্ঞাপনও কমেছে ভীষণ-ভাবে। ঢাকাসহ সারা দেশে অনেক সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কিছু পত্রিকা এখন কেবল অনলাইনে প্রকাশিত হচ্ছে। ফলশ্রæতিতে বহু পত্রিকা তাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না।
কোভিড-১৯ কালীন পরিস্থিতিতে তথ্য মন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব এর একাধিক বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকগুলোতে সংবাদপত্রসমূহের পক্ষ থেকে সংকট উত্তরণের জন্য একাধিক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এর পর পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বিশেষ কার্যকর উদ্যোগের অপেক্ষায় রয়েছি। অন্যান্য শিল্প খাত বিভিন্ন মাত্রায় সরাসরি সরকারী সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু সরকারীভাবে সংবাদপত্র সেবা শিল্প হিসেবে স্বীকৃত হলেও এই শিল্প আজও কোন সহায়তা পায়নি।
বিবৃতিতে তারা বলে, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নোয়াবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাব ও দাবি নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে দেখা করা হয়েছে। তাঁরা নোয়াবের উল্লিখিত বিষয়গুলো জরুরি বলে মনে করেন এবং এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা সংবলিত এই লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এখনকার সংকটময় মুহূর্তে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এই শিল্পের টিকে থাকা কঠিন। কিন্তু সরকারের কাছ হতে কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। বিগত বাজেটে এ সব দাবী বিষয়ে কিছু ছিল না। তবে স¤প্রতি তথ্য মন্ত্রনালয় হতে কিছু বকেয়া বিল পরিশোধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নোয়াব বলে, শ্রম আইন অনুসারে সংবাদপত্র একটি শিল্প,২০১৪ সালে সংবাদপত্রকে সেবা শিল্প ঘোষণা করা হয়। রুগ্ন শিল্পে পরিণত হওয়া সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে নিউজপ্রিন্ট আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যান্য দাবির মধ্যে ছিল: বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর (টিডিএস) ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশের বদলে অগ্রিম কর (এআইটি) শূন্য শতাংশ করা।
সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্তে¡ও বিশেষ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। যেমন তৈরি পোশাকশিল্প মুনাফা অর্জনকারী শিল্প হওয়া সত্তে¡ও এর করপোরেট ট্যাক্স ১০ থেকে ১২ শতাংশ। সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্তে¡ও করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ। এবারের বাজেটে সকল শিল্পের জন্য ২.৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করা জরুরি ছিল। আয়কর অধ্যাদেশ অনুসারে সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস ৪ শতাংশ এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর এআইটি ৫ শতাংশসহ মোট ৯ শতাংশ। অধিকাংশ সংবাদপত্রের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে টিডিএস ৪ থেকে ২ শতাংশ এবং ৫ শতাংশের বদলে এআইটি শূন্য শতাংশ দাবি করছে নোয়াব।
এই পটভূমিতে সংবাদপত্র শিল্পের টিকে থাকাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে এসেছে। এমন অবস্থায় আমরা সরকারের কাছ থেকে দেশে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা, এই শিল্পের ব্যয়, সামগ্রিকভাবে সংবাদপত্র শিল্পকে রক্ষার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও প্রণোদনা জরুরি প্রয়োজন বলে অনুভব করছি। একই সঙ্গে সরকারের কাছে পাওনা বিপুল বিজ্ঞাপনের বিল দ্রæত দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানাচ্ছি। সেই সাথে সংবাদপত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট শুল্ক, ভ্যাট, ইত্যাদি নিয়ে জটিলতা নিরসনে দ্রæত ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবী জানায় নোয়াব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।