পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবকাঠামো উন্নত করে ভারতকে ট্রানজিট দেয়ার পরামর্শ ব্যবসায়ী নেতাদের
শফিউল আলম ও তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের : সক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও ভারতের পণ্যসামগ্রী পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য নয়াদিল্লী সফরের সময়েই ভারতকে দুই সমুদ্র বন্দরে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান সম্পর্কিত শীর্ষ পর্যায়ে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তুতি চলছে। তবে পর্যাপ্ত অবকাঠামো নিশ্চিত না করে ভারতকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার বিরোধিতা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
জানা গেছে, দুই বন্দরের মাধ্যমে ভারতের আমদানি ও রফতানি পণ্য অভ্যন্তরীণ নৌ, রেল ও সড়কপথে পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আবার ট্রানজিট পণ্যের জন্য উভয় বন্দরে বিশেষ ইয়ার্ড ও শেড নির্দিষ্ট করে রাখা হবে যেটা ভারত চেয়েছে।
এদিকে দেশের আমদানি ও রফতানিমুখী পণ্যসামগ্রী হ্যান্ডলিং করতে গিয়েই প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রামের এবং দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলার বেসামাল অবস্থা। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিবছর গড়ে ১২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে পণ্য হ্যান্ডলিং। কন্টেইনার ওঠানামা ২১ লাখ টিইইউএস অতিক্রম করতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই উভয় বন্দর কন্টেইনারসহ কার্গোজটে স্থবির হয়ে পড়ে। কেননা দেশের আমদানি-রফতানির ক্রমবর্ধমান চাপ ও চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে এর বিপরীতে ভৌত অবকাঠামো, সংকুলানের স্থান, যান্ত্রিক ও কারিগরি সুবিধার ক্ষেত্রে হিমশিম অবস্থা বিরাজ করছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উভয় সমুদ্র বন্দরেরই প্রয়োজনীয় সক্ষমতার অনেকাংশেই অভাব রয়েছে। ভারতের পণ্য হ্যান্ডলিং করার জন্য আদৌ প্রস্তুত নয় দুটি বন্দর।
দুই সমুদ্র বন্দরে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভারতকে বন্দর ব্যবহার করতে দিতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। এতে আমাদের আয় বাড়বে। এটা দেশের জন্য ভালো। তবে এ জন্য অবশ্যই অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া ভারতকে ট্রানজিট দেয়া সম্ভব নয়। অবকাঠামো উন্নত না করে ট্রানজিট দেয়া হলে দেশের স্বাভাবিক আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়বে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতমুখী পণ্যের ট্রানজিট চালুর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম পণ্য আনা-নেয়া শুরু হয় ২০১৫ সালে। গত বছরের ২ জুন ‘এমভি ইরাবতী স্টার’ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩ নম্বর জেটিতে ভিড়ে এবং ভারতের তিনটি বন্দরগামী পণ্যভর্তি ৯২টি কন্টেইনার নামায়। এরপর ভারতের জন্য আনীত ৮৫টি কন্টেইনার নিয়ে ১৩ জুন চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে ‘এমভি ওশান প্রুব’ জাহাজটি। এসব কন্টেইনার ভারতের চেন্নাই ও নভোসেবা বন্দরে পৌঁছে। ভারতের চেন্নাই, কোচিন ও নভোসেবা বন্দরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহনের এই ‘ট্রানজিট’ অথবা ‘করিডোর’ ব্যবস্থাকে তখন দু’দেশের সরকারি তরফ থেকে অভিহিত করা হয় ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ কিংবা ‘কানেকটিভিটি’র নামে। গতবছরের ৬ ও ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকালে ভারত কর্তৃক চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক এবং উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতকে এ ধরনের ‘ট্রানজিট’, ‘করিডোর’ কিংবা ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’, ‘কানেকটিভিটি’ সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে কোন নিয়মিত চুক্তি ইতোপূর্বে হয়নি। এ ব্যাপারে কোন নীতিমালাও নেই। যা আগামী বছরের শুরুতে হতে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে সমুদ্রগামী মার্চেন্ট জাহাজ আসা-যাওয়া করে বছরে ২ হাজার ২শর বেশি। অন্তত সাড়ে ৬ কোটি মেট্রিক টন আমদানি ও রফতানি পণ্যসামগ্রী হ্যান্ডলিং (খালাস, মজুদ ও শিপমেন্ট) হয়ে থাকে। এই বাবদ বছরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ রাজস্ব আয় এবং ট্যারিফ, ফি বা মাসুল আহরিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায় জাহাজযোগে পণ্যসামগ্রী পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা চেয়ে দীর্ঘদিন যাবত পীড়াপীড়ি করে আসছে ভারত। বিষয়টি এতোকাল আলোচনা-পর্যালোচনার টেবিলে সীমাবদ্ধ থাকলেও ট্রানজিটের বিষয়টি শিগগিরই বাস্তব রূপ দেয়া হচ্ছে। তবে দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টমস ভারতের ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট বাবদ ফি, চার্জ, মাশুল, শুল্ক-কর প্রাপ্তির বিষয়টিও এখনও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। যদিও ট্রানজিট বাবদ ভারত থেকে বড় ধরনের কোন মাসুল পাওয়ার প্রত্যাশা ক্ষীণ হয়ে আছে অনেক আগে থেকেই।
বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেকহোল্ডাররা জানান, চট্টগ্রাম দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ভারতের ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্টের জাহাজ ও পণ্যসামগ্রী হ্যান্ডলিংয়ের বাড়তি চাপ নেয়ার মতো সক্ষমতা চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের নেই। এ ক্ষেত্রে বন্দরের সবধরনের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দেশের সড়ক-মহাসড়ক, রেলওয়ে ব্যবস্থাও ট্রানজিটের জন্য অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। দেশের পণ্য পরিবহনের ভার সামাল দেয়ার জন্য আগে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধাসমূহ সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। তাছাড়া ট্রানজিট বা ট্রানশিপমেন্টের প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে কি পড়বে, অর্থাৎ ট্রানজিটের লাভালাভ আগেই গভীরভাবে খতিয়ে দেখা ও সময়মতো সুবিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে। এরজন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ও সুষ্ঠু নীতিমালাও তৈরি করতে হবে। উপরন্তু ভারতকে ট্রানজিট দেয়া না দেয়ার প্রশ্নে চট্টগ্রাম বন্দরের ভূ-কৌশলগত অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতকে উপযুক্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি এএএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, এখন যেখানে বন্দর দুটি দেশের পণ্যই হ্যান্ডলিং করতে পারছে না, সেখানে ভারতকে এ সুযোগ দিলে সংকট আরও বাড়বে। ভারতকে যদি ট্রানজিট দেয়া হয়, তবে প্রথমে বাংলাদেশের রফতানি পণ্য, অমদানি করা খাদ্য পণ্য এবং শিল্পকারখানার কাঁচামাল খালাসের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ব্যবহারের পর থেকেই চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে কানেকটিভিটি কিংবা ট্রান্সশিপমেন্টের নামে ট্রানজিট সুবিধায় পেতে জোরালোভাবে পীড়াপীড়ি করে আসছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় এ বিষয়টি ভারত সরাসরি আলোচনার টেবিলে তুলে আনে। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। যদিও এখন এ নিয়ে পূর্ণাঙ্গ চুক্তির তোড়জোড় চলছে। বন্দর ট্রানজিটের পেছনে ভারতের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভূমি পরিবেষ্টিত (ল্যান্ড লকড) ‘দি সেভেন সিস্টার্স’ হিসেবে পরিচিত উত্তর-পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্যে (ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, অরুণাচল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও মনিপুর) পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করা। ভারত চাইছে তার দীর্ঘ ঘুরপথের পরিবর্তে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে পণ্যসামগ্রী সহজপথে স্বল্প সময়ে উপরোক্ত ৭টি রাজ্যে নিয়ে যাওয়া। এরজন্য ভারতের বাসনা, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং বাংলাদেশের সড়ক ও রেলপথকে ট্রানজিটের উন্মুক্ত সুবিধায় ব্যবহার করা। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রধান রেল ও সড়ক রুটসহ দেশের সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়কগুলোও ট্রানজিটের ভার বহনের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। সীমিত সড়কগুলো ট্রানজিটে ব্যবহৃত হলে সমগ্র দেশের পরিবহনব্যবস্থা আরও ভেঙে পড়বে।
বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এ বিষয়ে বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ না করে ভারত বা অন্য কোন দেশকে বন্দর ব্যবহারের অনুমাতি দেয়া সুবিবেচিত কাজ হবে না। বিদ্যমান অবকাঠামোতে এই সুবিধা দেয়া হলে বন্দর ব্যবস্থাপনায় বড় বিশৃংখলা দেখা দিবে। এতে ভারি হবে ক্ষতির পাল্লা।
বিজিএমইএ’র এই সাবেক সভাপতি বলেন, আমাদের গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকায় ফিডার ভেসেলের (ছোট জাহাজ) মাধ্যমে মাদার ভেসেলে কনটেইনার লোড-আনলোড করতে হয়। এতে আমরা প্রতি চালানে ১০ থেকে ১৫ দিন পিছিয়ে পড়ি। এ জন্য ট্রানজিট দেয়ার আগে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেয়া উচিত।
দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম সমগ্র দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে। এরজন্য চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি-বার্থ, ইয়ার্ড-শেড, গুদাম, অফডক, সড়কসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা মোটেই পর্যাপ্ত বা যথেষ্ট নয়। অপ্রতুলতা ও হরেক সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে এগিয়ে চলেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বঙ্গোপসাগর কোলে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় নিরাপদ পোতাশ্রয়কে ঘিরে হাজার বছর আগে গড়ে উঠে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হলেও চট্টগ্রাম হচ্ছে ‘ফিডার পোর্ট’। অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয় বন্দরে জাহাজ আসা ও যাওয়ার সিডিউল। দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর বর্তমানে অনেকাংশেই কন্টেইনার-শিপিং বাণিজ্য নির্ভর হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানিমুখী কন্টেইনার ওঠানামা, পরিবহন করা হচ্ছে বছরে ২১ লাখ ৮৯ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার (২০ ফুট সাইজের ইউনিট হিসাবে)। বছর বছর কন্টেইনার ওঠানামার প্রবৃদ্ধিও ব্যাপক। বর্তমানে ৪০ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার রাখা সম্ভব হচ্ছে বন্দরের ইয়ার্ডসমূহে। সামগ্রিকভাবে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরটি সমগ্র দেশের আমদানি-রফতানিমুখী পণ্য হ্যান্ডলিং ও পরিবহনের প্রয়োজন সামাল দিতে গিয়েই প্রতিনিয়ত চাপে রয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী তাও ভারতের মতো বৃহৎ দেশের জন্য ট্রানজিট সুবিধা উন্মুক্ত করে দেয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং তার সাথে সংযুক্ত অবকাঠামো বাস্তবিক অবস্থাতেই অক্ষম।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ভারতকে বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দিলে আমাদের আমাদের রাজস্ব বাড়বে ঠিক, তবে এর আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে চুক্তির আগে এই বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। তিনি বলেন, সড়ক ব্যবহার করে বন্দরে পণ্য আনা-নেয়ায় ভারতীয় পণ্যবাহী যানকে নির্ধারিত ‘সড়ক ব্যবহার ফি’ ও ‘টোল’ পরিশোধ করতে হবে। ওই ফি ট্যারিফ কমিশন নির্ধারণ করে দেবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।