পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের স্থলপথ ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য ভারতে নেয়ার অংশ হিসাবে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালান এখন চট্টগ্রাম বন্দরে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয়ের আট টন চা-পাতা ভর্তি কন্টেইনারটি কলকাতাগামী জাহাজে উঠবে। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ কন্টেইনারটি কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরে পৌঁছে দেবে।
জাহাজটি ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। জাহাজটির কিছু মেরামতকাজ শেষে চলতি সপ্তাহেই কন্টেইনারটি নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবে। বর্তমানে ট্রানজিট পণ্যভর্তি কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল ভবনের এসআই বক্সের সামনে রাখা হয়েছে। এ চালানটি কলকাতা পৌঁছালে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের চারটি ট্রায়াল রান শেষ হবে। এরপর ট্রানজিটের রুট, ব্যয়, ত্রæটি-বিচ্যুতি দূর করে অবকাঠামো উন্নয়নসহ বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন শুরু হবে। বাংলাদেশি শিপিং এজেন্ট ম্যাংগো লাইনের কর্মকর্তারা জানান, ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি এখন চট্টগ্রাম বন্দরে আছে। একটি কন্টেইনারে ৮ টনের মতো চা-পাতা রয়েছে। যেগুলো মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বোঝাই করা হয়েছে। লরিতে করে সেই চালানটি সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে মাসুল পরিশোধ শেষে বাংলাদেশে ঢুকেছে এবং কাস্টমসের নিরাপত্তা পাহারায় সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মেঘালয় থেকে এই ধরনের চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতা যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে কোনো পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে (সেভেন সিস্টার) পাঠাতে গেলে সড়কে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে কলকাতা থেকে আসাম বা ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় পণ্য পরিবহন করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে দ্রæত-নির্বিঘেœ পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতেই একতরফাভাবে ন্যুনতম মাসুল দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে উদ্যোগ নেয়া হয়।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্টকে অব গুডস টু অ্যান্ড ফরম ইন্ডিয়া’ চুক্তির আওতায় চারটি ট্রায়াল রান হচ্ছে। ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কন্টেইনার পণ্য এসেছিল। সম্প্রতি মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে একটি চালান ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।