Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা এড়াতে লংমার্চ ইসলামাবাদ যাবে না

সব স্টেট অ্যাসেম্বলি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত পিটিআই’র রাওয়ালপিন্ডির জনসভায় ইমরান খানের ঘোষণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ঘোষণা করেছেন যে, তার দলের ‘হাকিকি আজাদী’ পদযাত্রা ইসলামাবাদের দিকে যাবে না, কারণ তিনি দেশে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা ছড়াতে চান না।
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল দলের সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘তারা [সরকার] ইসলামাবাদের মিছিল নিয়ন্ত্রণের সামর্থ্য রাখে না... তারা লাখ লাখ মানুষকে ইসলামাবাদে প্রবেশ করা বন্ধ করতে পারে না। আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারতাম’।
তবে, তিনি যোগ করেছেন যে, দলটি বর্তমান শাসকদের আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে বাধ্য করার জন্য দেশের সমস্ত আইনসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি যোগ করেন, ‘যদি দাঙ্গা হয় তাহলে সবকিছু সবার হাত থেকে চলে যাবে। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি’।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘আজ আমি ইসলামাবাদে মিছিল করার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, কারণ আমরা দেশে অরাজকতা ছড়াতে চাই না’। “আমরা এই দুর্নীতিবাজ ব্যবস্থার অংশ থাকব না। আমরা সব বিধানসভা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
ইমরান বলেছেন যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে সমস্ত আইনসভা থেকে পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং পিটিআইয়ের সংসদীয় দলের বৈঠকের পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশের ক্ষতি না করে এ কলুষিত ব্যবস্থা ত্যাগ করাই ভালো।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এর আগে হাকিকি আজাদি মার্চের ‘ক্লাইম্যাক্স’-এর জন্য ইসলামাবাদে অবতরণ করেন এবং এ মাসের শুরুতে বন্দুক হামলায় আহত হওয়ার পর তার প্রথম জনসমাবেশে ভাষণ দিতে রাওয়ালপিন্ডি পৌঁছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘আমি যখন লাহোর থেকে রাওয়ালপিন্ডির উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলাম, তখন সবাই আমার পায়ে ক্ষতের কারণে আমাকে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছিল’। দ্বিতীয়ত, ইমরান বলেন যে, তার সহযোগীরা তাকে রাওয়ালপিন্ডিতে জনসভায় ভাষণ না দেওয়ার জন্যও সতর্ক করেছিলেন, কারণ ‘তিনজন অপরাধী যারা শীর্ষস্থানীয় পোর্টফোলিও রয়েছে তারা আবার আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করবে’।
ইমরান বলেন, শরীফ এবং জারদারির মতো পরিবার তাদের ‘লুট করা সম্পদ’ রক্ষার জন্য পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার জন্য দায়ী। ‘আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম তখন যখন আমাকে অন্য দেশের কাছ থেকে ঋণ চাইতে হয়েছিল তখন আমি লজ্জিত হয়েছিলাম’।
কোভিড-১৯সহ সমস্ত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, ইমরান বলেন, তার সরকার সফলভাবে দেশের অসুস্থ অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তিনি বলেন, আমরা কী অপরাধ করেছি যে, বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে?
তবে ক্ষমতাবানদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ইমরান। ‘কারণ ন্যাব সংস্থার নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তারা [ন্যাব] আমাকে বলেছিল যে, সব মামলা প্রস্তুত ছিল, কিন্তু তারা শীর্ষ থেকে আদেশ পাচ্ছিল না’।
‘সামরিক বাহিনী আমাকে অর্থনীতিতে মনোযোগ দিতে এবং দুর্নীতির মামলা বন্ধ করতে বলেছিল, তারা দুর্নীতিকে ভুল মনে করেনি। যাদের ক্ষমতা ছিল তারা দুর্নীতিকে খারাপ মনে করেনি।
‘সামরিক প্রতিষ্ঠান ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল না, তবে তারা তাদের [তৎকালীন বিরোধীদের] ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি’। সূত্র : জিও নিউজ, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ