ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
উৎসাহ-উদ্দীপনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ ২৫ নভেম্বর (শুক্রবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়। এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকার্যক্রমের বত্রিশ বছর পূর্ণ করে তেত্রিশ বছরে পদার্পণ করলো। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল সোয়া ১০ টায় প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালজয়ী মুজিব ও পরে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এরপর হাদী চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। শোভাযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় বিকাশে নানাভাবে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশ-বিদেশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্যগাঁথা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শ্লোগান নির্ধারিত হয়েছে। নতুন শ্লোগানের ধারায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানের ওবিই কারিকুলায় নিজেদের মানিয়ে নেয়া, সকল বিষয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা, ই-নথি চালু করা, বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন ক্যাম্পাসে পরিণত করতে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এ কাজে সফলতার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এরপর ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটেন। এসময় প্রো ভিসি প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, পরিষদের সভাপতি এস এম মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডল বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- মুক্তমঞ্চে বিভাগ ও ডিসিপ্লিনসমূহের গত বছরের অর্জন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা উপস্থাপন, বিগত বছরের কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থী ও সংগঠনমূহকে সম্মাননা প্রদান, স্মরণিকা প্রকাশ, বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিবসটি উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের মেইন গেট, রাস্তা, শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ক্যাফেটেরিয়া, একাডেমিক ভবন ও হলসমূহ আলোকসজ্জা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।