পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মিয়ানমার অভিমুখে আজকের লংমার্চ শুরুর স্থান জাতীয় প্রেসক্লাবের পরিবর্তে যাত্রাবাড়ী নির্ধারণ করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুুপুরে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ করে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এতদসত্ত্বেও লংমার্চ যথাযথভাবেই হবে এবং পূর্ণ প্রস্তুতিও রয়েছে। সকলস্তরের মানুষ এ লংমার্চে অংশ নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা-পুলিশ ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের দ্বারা বর্বরোচিত রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতন বন্ধ, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের সকল প্রকার নাগরিক ও মানবিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী সকল রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া, গণহত্যা ও ধর্ষণের বিচার এবং মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যে মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সামরিক অভিযান অথবা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই আজ ১৮ ডিসেম্বর এ লংমার্চের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং অং সান সু চি’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে বিচারের উদ্যোগনিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ই্উনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ আবদুর রহমান, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, শ্রমিক নেতা খলিলুর রহমান, ছাত্রনেতা আজিজুল হক, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।
লংমার্চ মিয়ানমারের পথে যে সকল স্থানে জমায়েত ও পথসভা অনুষ্ঠিত হবে তারমধ্যে রয়েছে : যাত্রাবাড়ী কাজলা ফ্লাইওভারের গোড়ায় জমায়েত সকাল ৯টায় এবং কাফেলা যাত্রা শুরু ১০.৩০ মি.। বাস ও মাইক্রো/হাইয়েজ গাড়ীতে যাত্রা। জনসভা/পথসভা: ক. কাঁচপুর সকাল ১১টা, খ. গৌরীপুর বেলা ১১.৩০ মি. গ. দাউদকান্দি ১২.০০ মি. ঘ. কুমিল্ল বিশ^রোড দুপুর ২টা, ঙ. ফেনী মহিপাল বিকাল ৪টা, চ. বারইয়ারহাট ৫টা, ছ. চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে গণজমায়েত রাত ৭টা ও রাত্রিযাপন চট্টগ্রামে, জ. চট্রগ্রাম থেকে ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৮ ঘটিকায় চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমার উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু, ঝ. পটিয়া পথসভা : সকাল ১১টা, ঞ. কেরানীরহাট সাতকানিয়া পথসভা : ১২টা, ত. চকরিয়া কক্সবাজার পথসভা ও জোহরের নামাজ, থ. কক্সবাজার লিংক রোড পথসভা বাদ আসর, দ. বাদ আসর পথসভার পর মিয়ানমারের উদ্যেশে যাত্রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।