Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭১’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান বিএনপির

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা তথা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের কাছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান প্রেসিডেন্টের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব পেশ করবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ,  সুষ্ঠু, যোগ্য যারা সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে, সেই ধরণের নির্বাচন কমিশন গঠন করবার জন্য আমরা বার বার বলে এসেছি। সেজন্য একটা প্রস্তাবও দিয়েছেন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আমরা ১৮ তারিখে সেই প্রস্তাব পেশ করবো। সংলাপে ডাকার জন্য প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা মহামান্য প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, তিনি সাড়া দিয়ে আমাদের সংলাপে ডেকেছেন। প্রেসিডেন্টের কাছে নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে কি কোনো নাম প্রস্তাব করবেন কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানতে পারবেন।
দুপুর ১টার দিকে শেরে বাংলানগরে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ নেতাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন বিশেষ মোনাজাতেও অংশ নেন তিনি।
এই সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, রুহুল কবির রিজভী, আফরোজা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মির্জা ফখরুল বলেন, একাত্তরের সালে যখন আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করি, বিজয় ছিনিয়ে নেই, তখন আমাদের সামনে স্বপ্ন ছিলো সত্যিকার অর্থে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করবার। আজকে ৪৫ বছর পরে সেই গণতন্ত্র আজ অবরুদ্ধ, মানুষের অধিকার লুন্ঠিত হয়েছে। মানুষ এখন কথা বলতে পারে না, লিখতে পারে না, তারা মত প্রকাশ করতে পারে না। একটি জগদ্দল পাথরের মতো একটা সরকার যারা সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক ও একনায়কতান্ত্রিক উপায়ে এই দেশ শাসন করছে। তাদের মূল লক্ষ হচ্ছে, বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দমন করে তাদের একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
মহানগর বিএনপি, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, ছাত্রদল, জাসাস, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাগ্রিকালরিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, জিয়া পরিষদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সামাজিক সংগঠন পৃথক পৃথকভাবে জিয়ার মাজারে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে।
এর আগে সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি সন্মান জানাতে তিনি কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, রুহুল কবির রিজভীসহ সিনিয়র নেতারা বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে ছিলেন।
এদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের ভবনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবস উপলক্ষে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার প্রকাশ ও দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৮:৪৭ এএম says : 0
    আমি ব্যক্তি হিসাবে মুসলমান এবং ভাষা আমার বাংলা, জাতী হিসাবে আমি বাঙ্গালী। আমি ফক্রুল সাহেবের মত একজন মুক্তিযোদ্ধা তাই আমি উনাকে স্মরণ করাতে চাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল নীতির অন্যতম নীতি ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তা বাদ। এবার আমি বিএনপির মহাসচিব ফক্রুল সাহেবকে কোরান ও হাদীসের উপর একটা কথা বলতে চাই। কোরানে আল্লাহ্‌ বলেছেন আমার শহীদদেরকে মৃত বলিও না। রসুল আল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেন আল্লাহ্‌র রাস্তায় যারা মারা যায় তারা শহীদ ও যারা জীবিত ফিরে আসেন তারা গাজী এরা আল্লাহ্‌তালার নিকট সম্মানিত ব্যাক্তি। তাহলে আমরা যারা যুদ্ধ করে জীবিত ফিরেছি তারা সবাই গাজী মানে আল্লাহ্‌র প্রিয় সম্মানিত ব্যাক্তি। কিন্তু এই সম্মান জিবিত অবস্থায় ধরে রাখতে পারলে আমাদের মৃত্যুও হবে আল্লাহ্‌র প্রিয় সাম্মানিত ব্যাক্তি হিসাবে। তাহলে আমাদেরকে গাজি হওয়ার সাথে আল্লাহ্‌র নির্দেশ মেনে চলতে পারলেই আমারা মৃত্যুর সময় সম্মান নিয়ে মরতে পারব নয়ত নয়। আল্লাহ্‌র প্রথম নির্দেশ সত্য কথা বলা এবং এই সত্য বলার মধ্যদিয়ে সকল অপকর্ম বন্ধ হয়ে যায় এবং আল্লাহ্‌র প্রতিটা নির্দেশ পালিত হয় এটা পরীক্ষিত। তাই আমি বলতে চাই আপনি ফক্রুল সাহেব মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাহলে আপনি ’৭১ সনে গাজী ছিলেন। এখনও কি আপনি গাজীর মর্যাদায় আছেন????? যদি থাকেন তাহলে আপনি অসম্মানিত হচ্ছেন কেন???? যাইহোক আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়ে কথা বললাম কারন আপনি জন নেতা আপনার আচার আচরণ জনসম্মুখে তুলে আনা সাংবাদিক বা যারা দেশের ও দশের কল্যাণ চায় তাদের দায়িত্ব। আমি আপনাকে বিশ্লেষন করার আগে আপনি আপনাকে বিশ্লেষন করে এগেয়ে যান অবশ্যই জয় লাভ করবেন আর যদি গাজীর মর্যাদায় না থাকেন তবে যেভাবে তলীয়ে যাচ্ছেন সেভাবেই তলীয়ে যাবেন এটা একজন গাজীর কথা। আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক পথে চালিত করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ