নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত শতাব্দীতে বিশ্বফুটবলে একটা মুখকথা ছিল, সবচেয়ে ভালো দল গুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ডস ও স্পেন কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে ডাচদের হারিয়ে নিজেদের গায়ে লাগা কলঙ্ক মুছে ফেলে স্প্যানিশরা। এরপরের আসরেও লুই ফন গালের অধীনে সেমি পর্যন্ত যায় তারা। কিন্তু কমলা শিবির এখনো সেই দায় থেকে মুক্তি পায়নি। ফুটবপ্রেমীদের কাছে নেদারল্যান্ডস হচ্ছে রোমাঞ্চের আরেক নাম। ফন গাল প্রথম যেবার দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেবার ডাচরা ২০০২ সালের বিশ্বকাপেই কোয়ালিফাই করতে পারেনি। এরপর ব্রাজিল বিশ্বকাপে দলকে করেন তৃতীয়। তবে এবার তৃতীয় শেষধাপে কি শিরোপা জয়ের পালা? সেই উত্তর পেতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপের আগেও ডাচরা ৪-৩-৩ ছকে খেলতো। কিন্তু ম্যানীজার ফন গাল আসরের সমইয় সেই ছক ভেঙ্গে ৩-৫-২ করে দিয়েছিলেন। এবারও তাই হতে যাচ্ছে, নেদারল্যান্ডস ৩-৪-১-২ ফর্মেশনে খেলেছে শেষ কইয়েক ম্যাচ। এই প্রসঙ্গে দলের কাপ্তান লিভারপুলে খেলা সেন্টার ব্যাক ভ্যান দাইক বলেন,‘আমি এই ছকটা পছন্দ করি না, কিন্তু যেহেতু বস এভাবে চাচ্ছেন, তাই আমি এটাই মেনে নিয়েছি।‘ এবারের মৌসুমে জর্জিনিও ভ্যানালদাম রোমাতে গিয়ে চোটে পরার পরই দলের ছক বদলে ফেলেন ম্যানেজার।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ কিপার সিলাসনকে আচরণগত কারণে দলে রাখিননি ফন গাল। সেক্ষত্রে জাস্টিন বাইলো তাদের সেরা অপসন হলেও ৩৯ বছর বইয়সী আয়াক্স কিপার পাসভির কোচের প্রথম পছন্দ। ডাচরা ৩ সেন্টারভ্যাক খেলায়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কাপ্তান ভ্যান ডাইক থাকছেন একাদশে। এই ৩১ বছর বইয়সী ডিফেন্ডার শেষ লাইন হিসেবে খেলবেন। তার ডান দিকে থাকবেন আয়াক্সের টিম্বার ও বাপে থাকবেন ম্যানসিটির অ্যাকে। নেদারল্যান্ডসের রাইট উইংব্যাক ডুম্ফাইস আক্রমণে থাকেন বেশি, মাঝে মাঝে ফলস নাইনেও চলে যান। সেক্ষেত্রে টিম্বার সেই গ্যাপ কাভার করেন। ডি-লিট ও ডে ভ্রাইয়ের মত ডিফেন্দারদের কোপ‚শল গত কারণেই বেঞ্চে থাকতে হতে পারে।
নেদারল্যান্ডসের লেফটব্যাক বিøন্ড খেলায় অপর ফুলব্যাক ডুম্ফাইসের মত ধরনের স্বাধীনতা পান না। একই সাথে এটাও সত্য তার আক্রমণের যোগ্যতাও ঠিক তেমনটা নয়। এই ব্যাকের ম‚ল কাজ হচ্ছে ডিফেন্সকে যাহায্য করা। মিডফিল্ডে অবধারিতভাবে খেলবেন ফ্রাঙ্কি ডি ইংয়। নিঃসন্দেহে তিনি এই দলের সবচেয়ে গুরুত্বপ‚র্ণ ফুটবলার। রক্ষণ ও আক্রমণের যোগাযোগ এই বার্সা মিদফিল্ডারই নিয়ন্ত্রণ করেন। একদম বক্স টু বক্স খেলোয়াড়ের যে দায়িত্ব, সেটাই পালন করবেন ডি ইংয়। তার উপরে উঠা ও নিচে নামার উপরই গোটা দলের মুভমেন্ট নির্ভরশীল। তবে তার পাশে আরেকজন ডিফেন্সিভ মিডফিলদার না থাকলে,তার প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স আসে না। তার পাশে থাকবেন আটালান্টার কুপমাইরেস। তবে এই মিডফিল্ডারের মত এই ফিচারের আরও দুইজন আছেন দাচ দলে। তারা হচ্ছেন ক্লাসেন ও রুন।
ফন গাল বায়ার্ন ও বার্সা যখন কোচিং করাতেন তখন তার দুই উইঙ্গার কখনোই বক্সে ঢুকতে পারতো না, তারা ওয়াইড এঙ্গেলেই থাকতো। তবে সেই কোয়শল থেকে সরে সেছেন এই বর্ষীয়ান কোচ। এই দলে উল্লেখযোগ্য কোন প্রথাগত স্ট্রাইকার নেই। ডিপাই ও বার্গউইন খেলবেন সামনে। আর তাদের পেছনে থাকবেন বার্গউইস বা গাকপো। এই ফরোয়ার্ডদের কাজ কেবল গোল তৈরি করাও। এবার কি ঘুঁচবে কমলা আক্ষেপ? ‘মেসি আশ্চর্যজনক খেলোয়াড়, জাদুকরী’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।