নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গ্রুপ ‘ই’
স্পোন, জার্মানি, কোস্টারিকা ও জাপান
প্রতি বিশ্বকাপেই গ্রুপ অব ডেথ থাকে। বাংলাটা অর্থ দাঁড়ায় মৃত্যুকুপ! তবে সহজ করে বললে, যে গ্রুপটার কমপক্ষে ৩টি দল শক্তিশালী তাকেই সাধারনত এই তকমাটা দেওয়া হয়, কারণ সেকেন্ড রাউন্ডে যেতে পারবে কেবল দুটি দল। এবারের কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘ই’ ঠিক তেমনই শক্তিশালী। আছে দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন ও জার্মানি। এই দুই জায়ান্টের সঙ্গে আছে কোস্টারিকা ও এশিয়ার পরাশক্তি জাপান।
নিঃসন্দেহে এই গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী মুলার, ন্যায়ারদের জার্মানি। এবারের বিশ্বকাপে তারা দলও গড়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মত। মুসিয়ালা, হাভার্টজ, ন্যাব্রি ও সানেদের মত তরুণদের সাথে আছেন অভিজ্ঞরাও। তাছাড়া কিমিক ও গোরেটজকাদের মত মিডফিল্ডার জুটির বিপক্ষে হোচট খাবে বর দলের ট্যাকটিসও। তাছাড়া রক্ষণতাও একদম ফেলে দেওয়ার মত নয় জার্মানদের। তাছাড়া ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালের নায়ক মারিও গোৎজেকে ফিরিয়ে এনেছেন ম্যানেজার হ্যান্সি ফ্লিক। তবে একজন পিওর স্ট্রাইকারের অভাবটা ভোগাতে পারে তাদের। একটা বদনাম আছে যে, জার্মানি মেশিনের মত ফুটবল খেলে। তবে ফ্লিকের ট্যাকটিক্স সেই দোষ থেকে অনেকটাই মুক্ত। এরপরও জার্মানদের মহা দুশ্চিন্তার কারণ শেষ ৮ ম্যাচে মাত্র ২টি জয়, যার একটি দুর্বল ওমানের বিপক্ষে।
জার্মানদের শক্তি নির্ভর ফুটবলকে কাউন্টার দিতে এই গ্রæপে আছে পেদ্রি, রদ্রি ও মোরাতাদের টিকিটাকা নির্ভর স্পেন। এই দলটার সবচেয়ে বর শক্তি হচ্ছে তারা সবাই একই ছন্দে ফুটবলতা খেলতে পারে। তবে আরও সূক্ষভাবে বললে, কোকে, লরেন্থদের নিয়ে গড়া মিডফিল্ডটাই দলের খেলা নিয়ন্ত্রন করে। স্প্যানিশ বস লুই এনরিকের ডিফেন্স ও ফরোয়ার্ড লাইনঅপ বেশ শক্তিশালী। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ফরোয়ার্ড নিয়ে সমস্যা হতে পারে স্পেনের। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এনরিক যে ধরনের ফুটবল খেলান তাতে গোলের জন্য কেবল স্ট্রাইকারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। দলে বিটর্কের জায়গা আছে একটি। গত ইউরো কাপের মত এবারও উপেক্ষা করা হয়েছে তারকা ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসকে। দলের সেন্টার-ব্যাক বিভাগের একমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে অনভিজ্ঞতা।
দুই বড় দলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে জাপান। গত বিশ্বকাপে এশিয়ার দলটি শেষ আটে উঠেই গিয়েছিল, তবে তারকায় ঠাসা বেলজিয়ামের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে লিড নিয়েও হারতে হয়েছিল কান্না ভেজা চোখে। তবে সামুরাইদের এবারের স্কোয়াড আগেরবারের চেয়ে ঢের শক্তিশালি। দলে ফ্রেঞ্চ ও জার্মানলিগ কাঁপানো একঝাক ফুটবলার। নিজেদের মহাদেশে বিশ্বকাপ, আবহাওয়ার শক্তি কাজে লাগিয়ে এবারের বিশ্বকাপে সারা ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দেওয়ার অপেক্ষায় জাপান। এই গ্রুপের সবশেষ দলের নাম কোস্টারিকা। পিএসজি গোলরক্ষক কাইলর নাভাস সবচেয়ে বর নাম দলটির। বাকি তিন দলের তুলনায় বেশ পিছিয়ে দলটি। বাস্তবতা মেনে গ্রুপ পর্ব থেকেই হয়তো তাদের বিদায় নিতে হবে।
গ্রুপ ‘এফ’
বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া, মরক্কো ও কানাডা
২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়ে আসর শেষ করতে হয়েছিল বেলজিয়ামকে। কাতার বিশ্বকাপেই তাঁদের গোল্ডেন জেনারেশনের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। ফলে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেই আন্তর্জাতিক ফুটবলের মঞ্চকে বিদায় জানাতে চাইবেন তারা, তবে সে পথে তাদের সবচেয়ে বড় বাধা কোচ রবার্তো মার্তিনেজই। এই স্প্যানিশ কোচের সেøা ও একঘেয়ে ট্যাকটিক্স, বেলজিয়াম দলের সঙ্গে মানান সই নয়। চোটগ্রস্ত লুকাকু আছেন দলে, যদিও আসরের শুরুতেই খেলতে পারবেন না তিনি। তাছাড়া ডি ব্রুইনা ও হ্যাজার্ডতো আছেনই দলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে। গত ইউরোতে ইনজুরির তবে দলটির সবচেয়ে ভঙ্গুর অবস্থা তাদের ডিফেন্সে। শেষ ৮ ম্যাচে অর্ধভাগ জয় পেয়েছে দলটি। তবে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছাতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না বেলজিয়ানদের।
ক্রোয়শিয়া দলে আগের রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া চার বছর আগে শিরোপার কাছাকাছি যাওয়া দলের যে আটজন কাতারেও আছেন। তবে দলটি এখনও কোচ জলাতকো দালিচের অধীনেই আছে। আর নতুন যে ১৮ জন প্লেয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যেই ইউরোপের বড় লিগ গুলোতে প্রতিষ্ঠিত। স্বাভাবিকভাবেই দলটির নেতৃত্ব দলের সবচেয়ে বড় তারকা মদ্রিচের উপর। এই ৩৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের সঙ্গে কোভাচিচ ও ব্রোজাভিচের রসায়নে দলটির মধ্যমাঠ আসরের অন্যতম সেরা। গত বিশ্বকাপের চেয়ে এবার ক্রোয়েটদের রক্ষণ অনেক ভারসাম্যপুর্ণ।
গ্রুপের আরেক দল হাকিম জিয়াস, আশফাক হাকিমিদ ও ইলিয়াসদের মরোক্কো। আফ্রিকার দলটি স¤প্রতি তাদের কোচ পরিবর্তন করেছে, কারণ সেই ম্যানেজারের অধীনে দলের সবচেয়ে বড় তারকা জিয়াস সুযোগ পাচ্ছিল না। বর্তমান কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের অধীনে কাতারে চমক দিতে চায় শেষ ৮ ম্যাচে ৪টি ম্যাচ জয়ী দলটি। বেলজিয়ামের জন্য হুমকি হতে পারে হাকিমি, জিয়াসরা।
এই গ্রুপের সবশেষ দল কনফাকাপ থেকে উঠে আসা কানাডা। যারা একই সাথে পরবর্তী আসরের আয়োজকও। মেক্সিকোতে ৮৬ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিষেক উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের দলটির। আর কাতারে তারা পেতে যাচ্ছে তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপের স্বাদ। তাদের ম্যানেজার জন হার্ডম্যান প্রথম ব্যাক্তি যে নারী ও পুরুষ দুই দলকে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিয়ে গিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।