মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল প্রায় ১শ’ ২০ মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে জ¦ালানি তেলের বাজার। এনার্জি অ্যাসপেক্টসের লিভিয়া গ্যালারাতির মতে, আগামী ৫ ডিসেম্বর ইউরোপের সবচেয়ে বড় জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে তেল সরবরাহে আকস্মিক পতন ঘটবে এবং ফেব্রুয়ারিতে যখন ডিজেলের মতো পরিশোধিত পণ্যের ওপরও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী ধাপ কার্যকর হবে, তখন জ¦ালানি তেলের মূল্য নতুন চাপের সম্মুখীন হবে। লিভিয়া বলেন, ‘আমরা দেখছি এ বছরের শেষে দর ১শ’ ২০ ডলারে পৌঁছেছে এবং আমরা সত্যিই আগামী দুই বছরের জন্য তাদের এ স্তর থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে নামতে দেখছি না, কারণ আমরা সরবরাহের মধ্যে একটি কাঠামোগত সমস্যা দেখতে পাচ্ছি।’
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো আরো দূরবর্তী সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু বাড়তি পরিবহন খরচের জন্য দাম বাড়ছে। যদিও মস্কো তার অপরিশোধিত তেল চীন এবং ভারতে রফতানি করছে, কিন্তু এক্ষেত্রেও পরিবহন খরচের কারণে মূল্য বাড়ছে। লিভিয়া বলেন, ‘এসব ব্যারেল অন্য অ-ইউরোপীয় বাজারে স্থানান্তর করার জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট চাহিদা এবং পরিবহন ক্ষমতা নেই। ব্রেন্ট কাঠামোগতভাবে উচ্চতর মূল্যে পৌঁছাতে চলেছে এবং এটি ভোক্তাদের ওপর মূল্যচাপ বাড়াবে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’ উপরন্তু, রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ইতোমধ্যেই দিনে ৫ লাখ ব্যারেল কমেছে এবং সামনের বছরের শুরুর দিকে দিনে আরো ১৫ লাখ ব্যারেল কমতে পারে। কারণ জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ান শোধনাগারগুলোকে কম উৎপাদনে বাধ্য করছে। এ উচ্চ পরিমাণের উৎপাদন ঘাটতি বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহে একটি বিশাল ধাক্কা দেবে এবং বাজারের জন্য একক বৃহত্তম ঝুঁকি তৈরি করবে।
লিভিয়া বলেছেন, যদি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনে তেলের চাহিদা কমে যায়, তাহলে দাম আরো বাড়তে পারে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ বাড়তি বাধার সম্মুখীন হতে পারে, যা বিশেষ করে ইউরোপকে প্রভাবিত করবে।
এদিকে, বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ তেল উৎপাদক ওপেকপ্লাস এবং যুক্তরাষ্ট্র বাজারে আরো অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। তিনি বলেন, ‘ওপেক দর নিশ্চিত করার জন্য খুবই রক্ষণশীল ছিল এবং এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বাকি বিশ্বের রফতানি সীমিত করার বিষয়ে বলা হয়েছে। সুতরাং এসব নীতির মাধ্যমে কী ঘটবে, তা দামের ওপর রাখার জন্য আরেকটি বড় বিষয় হবে।’ সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।