পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরাইলের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শান্তিতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু যেহেতু নেতানিয়াহু আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন তাই তার সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হবে। খবর আল আরাবিয়ার। টানা কয়েক বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর গত ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নেতানিয়াহুর জোট। এতে জোট প্রধান হিসেবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ‘উগ্রপন্থি’ নেতানিয়াহু শান্তিতে বিশ্বাস করেন না উল্লেখ করে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিন টিভিকে বলেছেন, ‘আমি নেতানিয়াহুকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি, ১৯৯০ সাল থেকে তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি শান্তিতে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু আমার অন্য কোনো উপায় নেই, তার সঙ্গেই কাজ করতে হবে। মাহমুদ আব্বাস বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃত হলেও তার ক্ষমতা ইসরাইলের দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাংক পর্যন্ত সীমিত। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলা কয়েক যুগের দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে হবে। ফিলিস্তিন টিভিতে প্রকাশিত মাহমুদ আব্বাসের সাক্ষাৎকারটি গত শুক্রবার ধারণ করা হয়। এটি ফিলিস্তিন ছাড়াও মিসরের টিভিতে প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারটিতে এ প্রবীণ নেতা আরও বলেন, ‘আমার ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমস্যা আছে। ইসরায়েল আমার জমি ও আমার দেশ দখল করে আছে। কে প্রধানমন্ত্রী? নেতানিয়াহু। মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে কাজ করতে আমি বাধ্য হয়েছি। এদিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার সর্বশেষ মেয়াদে আরব বিশ্বের চার দেশ মরক্কো, সুদান, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। রোববার নেতানিয়াহু বলেছেন, আরব বিশ্বের আরও দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে চান তিনি। তার দাবি, এটি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে সহায়ক হবে। উল্লেখ্য, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। সূত্র: আল আরাবিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।