গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে ভোটের আগের রাতে ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ করার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জাপান। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি তার দেশের এই অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনে এ রকম ঘটনা তিনি অন্য কোনো দেশে কখনো শোনেননি। আজ সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে প্রত্যাশা করছে জাপান। এই নির্বাচনে ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কোনো সুযোগ থাকবে না উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে জাপান সে প্রত্যাশা করেঠ
ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-অ্যাবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) এই ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসাডর’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাপানের মতামতের বৈশ্বিক গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, এর আগে ২০১৮ সালের আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট সিল মারা হয় এমন খবর পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। তবে আমি আশা করব, এবার (২০২৪ সালের জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য) জাতীয় নির্বাচনে তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না।
জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জানিয়ে ইতো নাওকি বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন প্রত্যাশা করি। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সব দল যাতে স্বাভাবিক ভাবে ভোটে অংশ নিতে পারে সেটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, আমরা জানি নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারও বলছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরোপেক্ষ নির্বাচন এমন একটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। কিন্তু প্রত্যাশা হলো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বিঘেœ অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হবে। ব্যালট বাক্সে ভরাট করার’ পুনরাবৃত্তি করা উচিত নয়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ আরো বেশি অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আগামীতে আরো অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। উন্নয়নের এই যাত্রায় জাপান ও জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাণিজ্যিক করিডরে গুণগত অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশকে জাপান যেসব সহায়তা দিচ্ছে তা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের এই মহা-উৎসবে আসতে পেরে জাপান আনন্দিত।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবসন প্রসঙ্গে ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন করা অনেক চ্যালেঞ্জের। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাপান কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।