বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়ে দারুণ খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১ বীরাঙ্গনা। গত বছর তাদের বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি গেজেট প্রকাশের পর থেকেই পাচ্ছেন মাসিক মুক্তিযোদ্ধা ভাতা। জাতীয় দিবসগুলোতে সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানানো হচ্ছে তাদের। দীর্ঘসময় পর রাষ্ট্রের এমন সম্মানে চরম খুশি বীরঙ্গনাদের পরিবার ও স্বজনরা।
৭১-এর অগ্নিঝরা দিনগুলোতে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে সম্ভ্রম হারানো সারা দেশের ৪১ জন নারীকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দিয়ে গত বছরের ১২ অক্টোবর সরকারি গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এই ৪১ বীরাঙ্গনার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জেই বসবাস ১১ বীরঙ্গনার। এর মধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে বাড়ি ৯ জনের। বাকি দুই জনের বাড়ি সদর উপজেলা ও শিবগঞ্জে।
বীরাঙ্গনারা হলেন গোমস্তাপুরের বোয়ালিয়া ইউনিয়নের রাবিয়া বেগম, হাসনা বেগম, জলো বেগম, সফেদা বেগম, আয়েশা বেগম, রেনু বেগম, হাজেরা বেগম, আরবী বেগম ও রাহেলা বেগম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের লিলি বেগম ও শিবগঞ্জের মালেকা বেগম। বোয়ালিয়ার বীরঙ্গনা জলো বেগম জানালেন, গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া, নয় রশিয়া, চকমজুমদার, সাহাপুর এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি হত্যাযজ্ঞ, নিরীহ বাঙালিদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া ও নারীদের সম্ভ্রমহানির ঘটনা ঘটে। এসব এলাকায় পাক বাহিনীর হাতে সম্ভ্রম হারানো নারীদের সংখ্যা কয়েকশ’ উল্লেখ করে তিনি জানান অনেকেই লজ্জায় মুখ খোলেনি আজও। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম জানান, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ না করলেও এসব বীরাঙ্গনারা তাদের মতোই বীর। তিনি আরো জানান, নিজের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হারিয়ে এতোদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল এসব বীরাঙ্গনা। তাদের স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সকল বীরাঙ্গনাদের সঠিক সম্মান জানানোর সুযোগ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেয়াসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্দকৃত সব ধরনের সুবিধা বীরাঙ্গনাদের দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।