নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতের টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা জুটির বিবাহবিচ্ছেদের খবর। এ বিষয়ে যদিও তাদের কেউই এখনও মুখ খোলেনি। তবে তাদের বিচ্ছেদের বিষয়ে নতুন খবর দিয়েছেন দু’জনেরই ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু। তিনি আবার শোয়েবের ম্যানেজমেন্ট দলের সদস্যও। তিনি জানান, ‘তাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তারা এখন আলাদা থাকছেন, এর বেশি এখন আর কিছু বলতে পারব না।’
গত শনিবার রাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি জং’ দাবি করেছে, ‘শোয়েব মালিকের সঙ্গে সানিয়া মির্জার সংসার ভেঙে যাওয়ার মুখে রয়েছে। এমনকি তারা দু’জনে গত কয়েক দিন ধরে আলাদা থাকছেন। তবে তাদের ছেলে ইজহান মির্জা মালিকের দেখাশোনা দুজনেই মিলে করছেন।’
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের মাঝে এসেছেন তৃতীয় কেউ। শোয়েব অন্য কোনো মহিলার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পাকিস্তানি মিডিয়ার একাংশ দাবি করছে, এক পাক অভিনেত্রীর প্রেমে মশগুল তার স্বামী শোয়েব মালিক। গণমাধ্যম সূত্রের দাবি, বছরখানেক আগে ফটোশুটে দেখা গিয়েছিল শোয়েব মালিক ও পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা ওমরকে। একের পর এক ঘনিষ্ঠ মুহ‚র্তে তাঁদের ফটোশুট হয়েছিল। তার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল দুজনের সম্পর্ক নিয়ে। কখনও পুলের পানিতে, কখনও চায়ের টেবিলে, কখনও অবার জিমে। একের পর এক প্লটে দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহ‚র্তের ফটোশুট হয়েছিল। অন ক্যামেরা দুজনের কেমিস্ট্রি দেখে অনেকেই বলেছিলেন, শোয়েব ও আয়েশার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি তো!
শোয়েব ও আয়েশা একটি ম্যাগাজিনের জন্য সেই শুট করেছিলেন। তবে পাকিস্তানি মিডিয়া দাবি করছে, ওই ফটোশুটের পর থেকেই দু’জন কাছাকাছি আসতে শুরু করেন। এখন তো আয়েশার প্রেমে শোয়েব মশগুল বলেও দাবি করছে একাধিক মিডিয়া হাউস।
একজন স্ব-ঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক এবং বিদেশী সেন্সর বোর্ডের সদস্য উমাইর সান্ধু হাই-প্রোফাইল দম্পতির মধ্যে সমস্যা তৈরির বিষয়ে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অফিসিয়ালি কনফার্মড, #ঝধহরধগরৎুধ ্ #ঝযড়ধরনগধষরশ এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সড! দম্পতির জন্য দুঃখ’।
শোয়েব ও সানিয়ার সংসার ভাঙার পিছনে তা হলে কি আয়েশাই কারণ! অন্তত পাক মিডিয়ার একাংশ সেটাই দাবি করছে।
স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সানিয়ার একটি পোস্টে এই জুটির ভাঙনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়? আল্লাহকে খুঁজে পাওয়ার জন্য।’ শুধু তাই নয়, ছেলে ইজহানকে নিয়ে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন টেনিস তারকা সানিয়া। যেখানে মা সানিয়াকে চুমু খাচ্ছে পুত্র ইজহান। সেই ছবির ক্যাপশনে সানিয়া লিখেছেন, ‘যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।’ এই পোস্টেও ঘর ভাঙার ইঙ্গিত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
কিন্তু তাদের সম্পর্কের রসায়নকে উদাহরণ হিসেবেই ধরা হতো। দু’জনের সম্পর্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি ছিল কাঁটাতার। ভারত-পাকিস্তানের পারস্পরিক সম্পর্কে বরাবরই তিক্ততার ছায়া লেগে থাকে। খেলার মাঠে তো তারা চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী। সেই পাকিস্তানের ক্রিকেটারের গলাতেই মালা দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের টেনিস তারকা। নিন্দুকদের কথায় কান দেননি দু’জনের কেউ। ২০০৩ সালে ভারতে খেলতে গিয়ে প্রথম সানিয়া-শোয়েবের দেখা হয়। সেখানে সাদামাটা আলাপের পর থেকেই দু’জনের যোগাযোগের সূত্রপাত। এর ৬ বছর পর ২০০৯ তাদের মন দেওয়া নেওয়া হয়। এর পরের বছর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
মেয়েদের ডাবলসে এক সময় এক নম্বর ছিলেন সানিয়া। তার ঝুলিতে মেয়েদের ডাবলস বিভাগে রয়েছে তিনটি গ্র্যান্ড সø্যাম। মিক্সড ডাবলসেও জিতেছিলেন তিনটি গ্র্যান্ড সø্যাম। শোয়েবও কোনো অংশে কম নন, ১৯৯৯ সাল থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। এক সময় দলের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেন এই অলরাউন্ডার। সূত্র : সিয়াসাত ডেইলি, জং নিউজ ও নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।