চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ডাকাতির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ও তাদের কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৪ নভেম্বর শুক্রবার রাতে ডাকাতির পর অভিযোগ পেয়ে রবিবার দিন রাত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মো. মোক্তার হোসেন (২৪), মো. নাহিদ গাজী (২৬), শরীফ বেপারী (৩০), মো. শরীফ (২০) ও মো. হোসেন প্রকাশ ছিডু ছৈয়াল (২৪)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃত মো. মোক্তার হোসেন উত্তর টরকী গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে, মো. নাহিদ গাজী মোহাম্মদপুর গ্রামের মোঃ হালান গাজীর ছেলে, শরীফ বেপারী দক্ষিন টরকী গ্রামের হান্নান বেপারীর ছেলে, মো. শরীফ সাড়ে পাঁচানী গ্রামের মো. মহসিনের ছেলে ও মো. হোসেন প্রকাশ ছিডু ছৈয়াল নেদামদী গ্রামের মো. জাকির ছৈয়ালের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত মো. মোক্তার হোসেন এর নিকট থেকে লুণ্ঠিত ১টি ঝঅগঝটঘএ এধষধীু অ১২ মডেলের এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনসেট, নগদ দশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আসামী মোক্তার এর হেফাজত হইতে এ মামলার ঘটনার সময় আসামীগণ কর্তৃক ব্যবহৃত একটি চাপাতি, তিনটি বড় লোহার ছুরি ও একটি লোহার তৈরী চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা মূলে করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত গ্রেফতারকৃত ৫জন ডাকাত অত্র মামলার ডাকাতির ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত ৫জন ডাকাতকে ৭ নভেম্বর সোমবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারসহ আরো লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো মহিউদ্দিন।
পুলিশ জানায়, ০৪ নভেম্বর রাত অনুমান ২টা থেকে আড়াইটায় মধ্যে মতলব উত্তর থানাধীন সুলতানাবাদ ইউনিয়নের তাতুয়া এলাকায় চাঁন মিয়ার বাড়ীর অনুমান ৫০ গজ পূর্ব পার্শ্বে বেড়ীবাঁধের পাকা রাস্তার উপর অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জনের ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়েকটি গাছের গুড়ি রাস্তার উপর ফেলে রাস্তা বেড়ীকেড দিয়ে একটি পিকআপ গাড়ী যাহার রেজি নং ঢাকা মেট্রো-ন- ২১-৩১৬৩ থামাইয়া গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে চালককে দাড়ালো অস্ত্র দিয়া আহত করে অন্যান্যদেরকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও ৩টি মোবাইল ফোনসেট লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরপরই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, বিপিএম-বার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ সঙ্গীয় এসআই মো. আব্দুল আউয়াল, এসআই মো. মোবারক আলী, এসআই শ্রী সুজিত চন্দ্র দে, এসআই মো. আল আমিন ভূইয়া, এএসআই মো. ইব্রাহিম ও ফোর্সের সহযোগীতায় একটি চৌকস দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাতি সংগঠন হওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ডাকাতদের সনাক্তকরণসহ গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকা মোবাইল ফোন ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় আরো নতুন চমক অপেক্ষা করছে বলেও জানান তিনি।