মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টুইটারের পর এবার জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক। অর্থাৎ টুইটারের পর এবার বড় ধরনের ছাঁটাই শুরু করতে যাচ্ছে ফেসবুকের প্যারেন্ট সংস্থা মেটা। চলতি সপ্তাহেই এই ছাঁটাই কার্যক্রম শুরু হতে পারে এবং এটি হাজার হাজার কর্মীকে প্রভাবিত করতে পারে।
প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে সোমবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে টুইটারের মালিকানা হাতে নেওয়ার পর গত শুক্রবার সংস্থাটিতে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেটা প্লাটফর্ম ইনকর্পোরেটেড এই সপ্তাহে বড় আকারের ছাঁটাই শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এতে করে হাজার হাজার কর্মচারী প্রভাবিত হবে বলে রোববার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে ছাঁটাই ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে মেটা কর্তৃপক্ষের।
সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে বুধবারের মধ্যেই মেটা থেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে মেটা কর্তৃপক্ষ।
গত অক্টোবর মাসে চলতি বছরে ক্ষতির হিসাব দিয়েছিল মেটা। এতে বলা হয়েছিল, সংস্থার স্টক মার্কেট ভ্যালু অনেক কমে গেছে। বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ফেসবুকের প্যারেন্ট এই সংস্থা। এমনকি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মতো প্লাটফর্মগুলোতে নতুন কর্মী নিয়োগও স্থগিত রাখতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যয়ের লাগামও টেনেছেন জাকারবার্গ। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই মেটায় এই গণছাঁটাই হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি টুইটার অধিগ্রহণের পর গণছাঁটাই পরিচালনা করেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার ব্যয় কমাতে তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এছাড়া তার হাতে আর কোনও উপায় ছিল না বলেও জানিয়েছেন মাস্ক।
এরপর একটি ই-মেইলের মাধ্যমে গত শুক্রবার রাতারাতি টুইটারের প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। ছাঁটাই হওয়া সকল কর্মী অগ্রিম বেতন পেয়েছেন। আর জাকারবার্গও এ বার মাস্কের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
আর এতে করে মেটায় কর্মরতদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে এরপরও ফেসবুক বা মেটা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্যারেন্ট কোম্পানি মেটা জানায়, তাদের ৮৭ হাজারেরও বেশি কর্মী রয়েছে। কিন্তু প্যারেন্ট সংস্থাটির ‘বড় আকারের’ এই ছাঁটাই কর্মীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কমিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, জাকারবার্গের আসন্ন এই ছাঁটাই টুইটারে হওয়া ব্যাপক ছাঁটাইয়ের তুলনায় মেটাকে আরও বেশি প্রভাবিত করতে পারে। কারণ টুইটারের ছাঁটাই পরিকল্পনার কারণে কোম্পানিটির ৭ হাজার কর্মচারীর মধ্যে প্রায় অর্ধেককে প্রভাবিত করেছিল।
এর আগে গত জুন মাসে মেটার প্রধান পণ্য কর্মকর্তা ক্রিস কক্স কর্মীদের ‘গুরুতর সময়ের’ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ একই সময়ে কর্মীদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে শুরু করেছিলেন।
তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সম্ভবত কোম্পানিতে এমন এক গুচ্ছ লোক রয়েছেন যাদের এখানে থাকা উচিত নয়’। জাকারবার্গ পরবর্তীতে সেপ্টেম্বরে নিয়োগ স্থগিত করেন এবং সতর্ক করে দেন, অদূর ভবিষ্যতে কোম্পানির আকার কমতে পারে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।