পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ অনুমোদন করবে না যতক্ষণ না দুদেশ প্রয়োজনীয় ‘পদক্ষেপ নেয়’। শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গকে এ কথা বলেন। আঙ্কারা ‘সন্ত্রাসী’ বলে মনে করে এমন নিষিদ্ধ কুর্দি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য নর্ডিক দেশ দু’টিকে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক এবং জুনে একটি চুক্তি সত্ত্বেও তাদের ন্যাটো সদস্যপদ অনুমোদন করা থেকে তুরস্ক বিরত রয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের দফতর জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট এরদোগান উল্লেখ করেছেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের গৃহীত পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করবে অনুমোদন প্রক্রিয়া কত দ্রুত হবে এবং কখন এটি শেষ হবে।’ এরদোগান এবং স্টলটেনবার্গ ইস্তাম্বুলে একটি ব্যক্তিগত বৈঠক করেছিলেন যা মিডিয়ার জন্য উন্মুক্ত ছিল না। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন কয়েক দশকের সামরিক নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে এবং মে মাসে ন্যাটো সদস্য হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু এরদোগান দেশ দুটির ন্যাটো সদস্য হওয়ার পক্ষে সমর্থন না দেওয়ার হুমকি দেন। এ ক্ষেত্রে তার দাবির ব্যাপারে সমঝোতার আহ্বান জানান। পরে এ নিয়ে জুন মাসে তুরস্ক, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। এতে তুরস্ক বিরোধী তুর্কি সন্ত্রাসীদের প্রত্যর্পণ এবং তথ্য বিনিময়ের বিধান অন্তর্ভুক্ত ছিল। নতুন সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মঙ্গলবার আঙ্কারা যাবেন এবং স্টকহোম আশা করছে তারা ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য তুরস্কের অনুমোদন পাবে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ন্যাটো জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়, স্টলটেনবার্গ সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়িত করার জন্য উভয় দেশেরই গৃহীত বড়, দৃড় পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং জোর দিয়েছেন যে, তাদের যোগদান ন্যাটোকে আরও শক্তিশালী করবে’। বৃহস্পতিবার ন্যাটো মহাসচিব তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের যোগদান ‘রাশিয়াকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানোর জন্য’ গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি ছাড়া ন্যাটোর ৩০টি সদস্য রাষ্ট্রই সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন দিয়েছে। জোটের নতুন সদস্যদের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।