প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ডিলান হাসান : যে শাকিব আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আলো-বাতাসে এবং এখানের মানুষগুলোর সহায়তায় তারকা হয়ে উঠেছে, সে শাকিবের কাছে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এখন অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে এখন সে ধারণ করে না। কলকাতার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তার কাছে আপন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ও এ অঙ্গনের টেকনিশিয়ানদের বদনাম করে বেড়াচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে? অত্যন্ত বেদনাহত হয়ে কথাগুলো বললেন, শাকিবকে নিয়ে ২২টি সিনেমা নির্মাণ করা বদিউল আলম খোকন। মূলত এই খোকনের সিনেমার মাধ্যমেই আজকের তারকা শাকিবের উত্থান। ২০০৭ সালে তার প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমার মাধ্যমে শাকিব প্রথমবারের মতো তারকা খ্যাতি লাভ করেন। স্বাভাবিকভাবেই শাকিব যখন বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেতিবাচক কথা ও এর মানুষগুলোর বদনাম করেন তখন বদিউল আলম খোকনের দুঃখ হবে। কষ্ট লাগবে। এই কষ্টের কথা বলতে গিয়ে খোকন দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, আমি যদি প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমায় শাকিবকে না নিতাম, এ শাকিব কোনো দিনই শাকিব হয়ে উঠতে পারত না। তাকে কেউই চিনত না। অশ্লীল সিনেমার দ্বিতীয় শ্রেণীর নায়ক ছিল সে। বলা যায়, তাকে আমি নদর্মা থেকে তুলে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এসেছি। প্রিয়া আমার প্রিয়া সিনেমায় তাকে আড়াই লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছি। তার পরের সিনেমায়ই তাকে পঁচিশ লাখ দিয়েছি। তাকে ভিখারি থেকে রাজা বানিয়েছি। তিনি বলেন, শাকিবকে যদি ফিল্মে সুযোগ না দেয়া হতো, সে যেখানে জন্মগ্রহণ করেছে সেখানেই পড়ে থাকত। বড়জোর তিন-চার হাজার টাকা বেতনের অফিস সহকারীর চাকরি পেত। আমাদের ফিল্মইতো তাকে আজ গুলশানের মতো জায়গায় বাড়ি দিয়েছে, বিএমডব্লিউ গাড়ি দিয়েছে, কোটি কোটি টাকা দিয়েছে। এখন যে কলকাতায় গিয়ে সিনেমা করছে, তা আমাদের ফিল্মের মানুষগুলোর জন্যই। অথচ সে আমাদের ফিল্মের বদনাম করছে, আমাদের টেকনিশিয়ানরা কাজ জানে না বলে মন্তব্য করছে। এমনকি যৌথ প্রযোজনার নামে যেসব সিনেমায় সে অভিনয় করছে, তাতে আমাদের টেকনিশিয়ানদের না নেয়ার কথা বলছে। এর মাধ্যমে সে আমাদের দেশের ফিল্মের বিরোধিতা করছে। অন্যভাবে বললে, দেশের বিরোধিতা করছে। এখন সে ভারতপ্রেমী হয়ে উঠেছে। ভারতের সবকিছুই তার কাছে ভাল। বাংলাদেশ যে তাকে শাকিব বানিয়েছে, এটা ভুলে যেতে চাইছে। যে নিজের জন্মকে অস্বীকার করে, তাকে দিয়ে আর যাই হোক, দেশের কোনো উপকার আসা করা যায় না। এখন সে কলকাতার সাথে মিলে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় নেমেছে। আমরা বেঁচে থাকতে তা কিছুতেই হতে দেব না। আমাদের এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই একজন নায়করাজ তৈরি করেছে। সোহেল রানা, ফারুক, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, আলমগীর, ববিতা, শাবানা, মান্না, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পূর্ণিমা, পপিদের জন্ম দিয়েছে। শাকিব তার আচরণ দিয়ে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে অস্বীকার করতে চাইছে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি মনে করি, শাকিবের এই আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। শুধু এটুকু বলব, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুনমা করতে না পারো, অন্তত বদনাম করো না। নিজের অস্তিত্বের সাথে বেঈমানী করো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।