Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে ছাত্র গ্রেফতারের প্রতিবাদে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কানাইয়া কুমার নামে এক ছাত্রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ভারতে কমপক্ষে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এতে যোগ দিয়েছেন ছাত্রদের বিভিন্ন সংগঠন ছাড়াও সাংবাদিক ও শিক্ষক সমাজ। ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার দায়ে ২০১৩ সালে ফাঁসি দেয়া হয় মোহাম্মদ আফজাল গূড়কে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত সপ্তাহে বক্তব্য রাখেন বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কানাইয়া কুমার। এ প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে,
খবরে বলা হয়, কানাইয়া কুমারকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়েই বিগত ২৫ বছরের মধ্যে ভারতজুড়ে সবচেয়ে বড় ধরনের ছাত্রবিক্ষোভ চলছে। আফজাল গূড়’র ফাঁসি নিয়ে শুধু প্রশ্নই তোলেননি কুমার, একই সঙ্গে কাশ্মীরি এই নেতার ফাঁসির বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। এ জন্য তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। সবচেয়ে তীব্র আন্দোলন হচ্ছে নয়াদিল্লির অভিজাত জওয়াহারলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদ ক্লাস বর্জন করেছেন। ব্যারিকেড বসানো হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায়। এতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। এ বিষয়ে বামপন্থি ছাত্র সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস ফেডারেশনের দিল্লি ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহিলা পারভিন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের কথা সরকার শুনতে চায় না। ছাত্ররা কি ভাববে, কি বুঝবে এবং কি বলবে সে বিষয়ে তারা নির্দেশনা দিতে চায়। এর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার ও বাম ঘরানাদের মধ্যে আদর্শগত লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে কানাইয়া কুমার ভারতবিরোধী বলে তাকে অভিযুক্ত করেছে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্যরা।
বিজেপির এক এমপি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেয়া উচিত। দলীয় সদর দফতরে মোদির ঘনিষ্ঠ, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই যে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিই তা দেশকে রক্ষার জন্য। ভারত বিরোধী কোন তৎপরতা সহ্য করা হবে না। ওদিকে গত সোমবার আদালতে হাজির করা হয় আটক ছাত্রনেতা কানাইয়া কুমারকে (২৮)। তখন নয়াদিল্লির আদালত কক্ষে আইনজীবী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। বিজেপি ঘরানার এক ছাত্রনেতা বলেছেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে দেশের ক্ষতি করা যাবে না। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ শর্মা বলেন, যদি আপনি একজন সন্ত্রাসীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন তাহলে তো আপনি ভারতীয় নন। ইনডিপেনডেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারতে ছাত্র গ্রেফতারের প্রতিবাদে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ