Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে জড়িয়ে দুমকিতে ভগ্নিপতির বাড়িতে শ্যালক খুন।

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২২, ৫:২৭ পিএম

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর দুমকির পাংগাশিয়া গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে এসে জমিদখল কাজে জড়িয়ে মামুন গাজী (৩২) প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ৪ জনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়,উপজেলার পাঙ্গাশিয়া গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের খালেক হাওলাদার-মতলেব হাওলাদার গংদের সাথে পাশ^বর্তী ৮ নং ওয়ার্ডের সোবাহান হাওলাদারের ছেলে বশার হাওলাদার গংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।এ বিষয়ে ইতিপূর্বে আ: খালেক বাদী হয়ে পটুয়াখালী আদালতে মামলা করেন যা বিচারধীন রয়েছে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বের টার্মের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয় বলে বর্তমান চেয়ারম্যান গাজী নজরুল জানান।তিনি আরোও জানান,নিহত মামুন এ এলাকার লোক নয় তিনি তার দলবল নিয়ে ৭-৮ টি মটর সাইকেল যোগে যখন ঘটনার দিন এলাকায় প্রবেশ করে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে দুমকী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাতে বলি এবং উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলি।পরবর্তীতে ঘটনার দিন বিকেলে সোবাহান হাওলাদারের ছেলে বশার হাওলাদার বশার হাওলাদারের শ্যালক মামুন গাজী তার লোকজন নিয়ে বিরোধীয় জমিতে ঘর উঠাতে গেলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫-৭ জন গুরুতর জখম হয়। এদের মধ্যে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খালেক,রাহাত,নাসিমাকে এবং প্রতিপক্ষের সোবাহান হাওলাদারের ছেলে বশার হাওলাদারের ছেলে মামুনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় ।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মামুন মারা যায়। মোবাইল ফোনে মামুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে থানা পুলিশ শুক্রবার রাতেই এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খালেক হাওলাদার (৫৫), রনি (২০), রাহাত (২৫), সাহভানু বেগম (২৭)কে আটক করে। নিহত মামুন গাজীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার শিয়ালি গ্রামে ।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুস সালাম বলেন, এঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে। নিয়মিত হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। ঢাকা মেডিকেলে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার প্রক্রিয়া চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ