Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবারো শেষের নায়ক রামোস

| প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : এল ক্ল্যাসিকোয় শেষ সময়ে গোল করে প্রায় হারতে বসা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট আদায় করে নেয়ার সুখস্মৃতি রিয়াল মাদ্রিদ ভক্তদের কাছে এখনো টাটকা। ক্যাম্প ন্যুতে ৮৯তম মিনিটে সেদিন বার্সেলোনা ভক্তদের হৃদয় ভেঙেছিলেন সার্জিও রামোস। ঠিক সাত দিনের মাথায় আবারো প্রায় একই চিত্রনাট্য। আবারো নায়কের ভ‚মিকায় সেই রামোস আর তার দুর্ধর্ষ সেই হেড। এবার ঘরের মাঠে দিপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে যোগ করা সময়ের গোলে দলকে ৩-২ ব্যবধানের জয় উপহার দেন রিয়াল অধিনায়ক।
এই জয়ে টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন ক্লাব রেকর্ড গড়ল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। ‘বিবিসি’হীন ম্যাচে নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট আগেও ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল জিনেদিন জিদানের দল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় পূর্ণ তিন পয়েন্টের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়ে তার শিষ্যরা। ফলে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী বার্সার সাথে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ছয়ই থাকল। আগের ম্যাচে লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ওসাসুনাকে ৩-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা।
পরশু রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সবকটি গোলই আসে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে। সফরকারী মিডফিল্ডার সেলসো বরগেসের হেডার পোস্টে লেগে ফিরে না এলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়তে পারত স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে বার্নাব্যু শিবিরে স্বস্তি এনে দেন আলভারো মোরাতা। তবে তাদের এই স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। স্বাগতিক ভক্তদের স্তব্ধ করে মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে বদলি খেলোয়াড় জসেলুর জোড়া গোলে ২-১এ এগিয়ে যায় দিপোর্তিভো। মনে হচ্ছিল রেকর্ডটা এই বুঝি হাতছাড়া হয়ে গেল জিদানের। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ছয় মিনিট আগে বদলি খেলোয়াড় মারিনো দিয়াজের আচমকা শট স্কোরবোর্ডে সমতা এনে দেন। লা লিগায় এটি তার প্রথম গোল। এরপর যোগ করা সময়ে সফরকারীদের হৃদয়ভাঙা রামোসের সেই হেড। এতে তার দলের মহামূল্যবান তিন পয়েন্ট তো নিশ্চিত হলোই, সাথে ১৯৮৮-৮৯ মৌসুমে ডাচ কোচ লিও বেনহাকারের গড়া টানা ৩৪ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ক্লাব রেকর্ডও টপকে গেল জিদানের দল।
এমন কীর্তি গড়ে স্বভাবতই খুশি জিদান, ‘জানতাম আমরা আজ বড় কিছু করতে যচ্ছি, যা আমরা করে দেখিয়েছি। টানা ৩৫ ম্যাচ না হারাটা আপনাকে শক্তি জোগাবে। একদিন আমরা হারব, কিন্তু এই দলের সবচেয়ে ভালো দিক হলো নিজেদের ওপর সবসময় বিশ্বাস রাখতে পারাটা।’ ম্যাচের নায়ক রামোসের কণ্ঠও যোগ্য সেনাপতির প্রমাণ দেয়। ম্যাচ শেষে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্বাসের সাথে উদ্যম নিয়ে আপনাকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’
আপাতত কয়েকদিন বিশ্রাম পাচ্ছেন রামোসরা। এরপরই উড়াল দিতে হবে জাপানের উদ্দেশ্যে। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার দল জিয়নবাক হুন্দাই। এক নজরে ফল

রিয়াল মাদ্রিদ ৩-২ দিপোর্তিভো
রিয়াল সোসিয়াদাদ ৩-২ ভ্যালেন্সিয়া
লাস পালমাস ১-১ লেগানেস
* রিয়ালের অপরাজিত ৩৫ ম্যাচে জয় ২৬টি, বাকি ৯ ম্যাচ ড্র। এসময় তারা গোল করেছে ৯৮টি, খেয়েছে ৩৪টি। ১১ বার কোনো গোল হজম করতে হয়নি।
* অপরাজিত ৩৫ ম্যাচে ৯৮ গোলের ২১টি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর, করিম বেনজেমা ও গ্যারেথ বেলের ১১টি করে।
* এ নিয়ে সপ্তম বারের মতো লা লিগায় টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত রিয়াল মাদ্রিদ। এমন অবস্থায় কেবল ১৯৯১-৯২ মৌসুমেই শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল তাদের।
* সার্জিও রামোস চলতি মৌসুমে গোল করেছেন পাঁচটি। যা লা লিগায় অন্য যে কোনো ডিফেন্ডারের চেয়ে বেশি।
* ২০০৫ সালে সেভিয়া থেকে মাদ্রিদে যোগ দেয়ার পর দলের হয়ে ৪৯২ ম্যাচে রামোস গোল করেছেন ৬৩টি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ