পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ মুসলিম দু’টি দেশের বৃহত্তর সুবিধার্থে বাংলাদেশ থেকে আরো অধিক হারে জনবল নিয়োগের জন্য ব্রুনাই’র সুলতানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ব্রুনাইয়ের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান। সফররত ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌলাহ গতকাল বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান জানান।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, প্রেসিডেন্ট ব্রুনাইর সুলতানকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুলতানের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল। রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়। তিনি বাংলাদেশের আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার স্ট্যাটাস পেতে ব্রুনাই’র সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
প্রেসিডেন্ট হামিদ ব্রুনাইতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সুলতানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দানের জন্য সুলতানকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, এ ইস্যুতে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে সুলতানের সহযোগিতা কামনা করেন।
সুলতান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকের পরে সুলতান বঙ্গভবনের ‘দর্শনার্থী বইতে’ও স্বাক্ষর করেন। এর আগে সন্ধ্যায় তিনি বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রুনাই’র সুলতানের সম্মানে বঙ্গভবনে নৈশভোজ
প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে সফররত ব্রুনাই’র সুলতান হাজী হাসানাল বলকিয়াহ মুইজাদ্দিন ওয়াদদৌলাহ এবং তার সফরসঙ্গীদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী এবং রাজনীতিবিদ ভোজ সভায় যোগ দেন। এর আগে বঙ্গভবনের দরবার হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সুলতান বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট হামিদ একটি ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। প্রেসিডেন্ট, ব্রুনাই’র সুলতান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ শিল্পকলা আয়োজিত প্রায় ২৫ মিনিটব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাগণ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রুনাই’র সুলতান প্রথমবারের মতো দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন। হযরত শাহ্জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। সুলতান এবং তার প্রায় ৪২ জন সফরসঙ্গীকে বহনকারি রাজকীয় ব্রুনাই এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট ২টা ২৪ মিনিটে হযরত শাহ্জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।