মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ শুক্রবার প্রবীণ আইনজীবী আইতজাজ আহসানকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেছেন। আহসানের নাম সরাসরি উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) জনপ্রিয় একজন নেতা সম্প্রতি চীফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) বাজওয়ার সাথে মধ্যস্থতার মাধ্যমে দূর্নীতির মামলা থেকে শরীফদের খালাস করিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন দীর্ঘকালের বিশ্বাসঘাতক। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে ত্যাগ করেছিলেন। তিনি কারচুপির নির্বাচনে (জিয়াউল হকের আমলে) প্রথমবারের মতো সাফল্যের স্বাদ পান।’
ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছিলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পরিবর্তে সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যিনি ব্যস্ততার কারণে সেখানে যোগ দিতে পারেননি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং পাঞ্জাবের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। আইতজাজ এই সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, শরীফ পরিবারের সদস্যদের খালাস নিশ্চিত করে সিওএএস বাজওয়া একটি বড় অপরাধ করেছেন। ‘নওয়াজ, শেহবাজ এবং মরিয়মের বিরুদ্ধে মামলাগুলি (সিওএএস) বাজওয়ার হস্তক্ষেপের পরে শেষ হয়েছিল। তিনি একটি বড় অপরাধ করেছেন,’ তিনি বলেন।
পাঞ্জাবের দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রানা ফারুক বুধবার সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, আইতজাজ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গণতন্ত্রকে লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, আইতজাজ শুধুমাত্র নিজেকে সমৃদ্ধ করতে এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থকে এগিয়ে নিতে রাজনীতি ব্যবহার করেছেন। পিপিপি পাঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আইতজাজ কীভাবে পিপিপির সাথে বারবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, প্রবীণ আইনজীবী ১৯৭০-এর দশকে প্রতিদ্বন্দ্বী দল তেহরিক-ই-ইস্তিকলালের জন্য পিপিপিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন যখন ভুট্টোর জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তিনি বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকেও সমর্থন করেছিলেন। ফারুক বলেন, পিপিপি-এর কোণ্ডচেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি যখন ইমরানের অফিসে থাকাকালীন এনএবি মামলায় জেলে ছিলেন এবং চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল তখন আইতজাজ নীরব ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ একই দিন বলেছিলেন যে, আইতজাজ মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় মন্তব্যের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সিওএএস বাজওয়াকে টুইটারে আক্রমণ করায় ইমরান খানের দল পিটিআই’র সিনেটর আজম স্বাতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অথচ একই ঘটনায় আইতজাজকে কেন ছাড় দেয়া হয়েছে? সানাউল্লাহ বলেন, ‘তিনি একজন প্রতিভাধর আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তিনি এখন যাকে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি ধ্বংসপ্রাপ্ত।’ সূত্র : দ্য ফ্রাইডে টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।