মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের একটি সরকারি হাসপাতালের ছাদে অন্তত ২০০ ব্যক্তির পচাগলা মরদেহ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দেশটির পাঞ্জাবের মুলতান শহরস্থ একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়।
পাকিস্তান সরকার এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ ইলাহি ৬ সদস্যের একটি উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করেছেন।
পাকিস্তানের জিওনিউজের বরাতে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিশতার হাসপাতালের ছাদে নির্মাণ করা একটি রুম থেকে কয়েক ডজন পচে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন খবর অনুযায়ী, ওই ছাদ থেকে মানবদেহের কয়েকশ’ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনো স্বীকার বা অস্বীকার করেনি। এমনকি কোনো সরকারি সূত্র ঠিক কতটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তাও বলেনি।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক জামান গুজ্জার বলেছেন, এক হুইসেল ব্লোয়ার (ফাঁসকারী) নিশতার হাসপাতালের মর্গের ছাদে পচাগলা মরদেহের বিষয়ে তাকে জানিয়েছিল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিনি ওই হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তখনই ওই ফাঁসকারী তাকে এই সম্পর্কে ইঙ্গিত করেছিলেন।
গুজ্জার বলেন, আমি যখন নিশতার হাসপাতালে যাই একলোক আমার কাছে এসে বলে, আপনি যদি ভালো কিছু করতে চান তাহলে মর্গের দিকে উঁকি দিয়ে দেখুন।
গুজ্জার বলেন, তিনি যখন সেখানে যান তখন মর্গের স্টাফরা দরজা খুলতে চাচ্ছিল না। এ অবস্থায় তিনি বলেন, আপনারা যদি দরজা না খুলেন তাহলে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করব।
তিনি বলেন, অবশেষে যখন মর্গের দরজা খোলা হলো এবং তিনিসহ পরিদর্শনে যাওয়া অন্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন তখন তারা অন্তত ২০০ মরদেহ আশপাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পচাগলা সব মরদেহ (নারী ও পুরুষ উভয়ের) নগ্ন ছিল। এমনকি নারীর মরদেহও ঢেকে রাখা হয়নি।
তিনি বলেন, যখন তিনি হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে জানতে চান এসব কি হচ্ছে? তখন তারা বলেন, মরদেহগুলো শিক্ষার উদ্দেশে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করেন। এ সময় তিনি মর্গ কর্তৃপক্ষের কাছে মরদেহগুলো বিক্রি করে কি না জানতে চান।
তিনি জানান, মরদেহগুলোর মধ্যে দুটির অবস্থা এমন ছিল যে, সেগুলো কেবল পচতে শুরু করেছে। সেগুলো কীটপতঙ্গে ঢেকে যাচ্ছিল যেন। গুজ্জার বলেন, আমার ৫০ বছরের জীবনে এমনটা আমি কখনো দেখিনি।
এদিকে ওই দেহগুলো শিক্ষার্থীদের কাজে ব্যবহৃত- এমন জবাবে সন্তুষ্ট নয় প্রশাসন। দেহগুলো দাহ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মৃতের স্তূপের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি, দেহগুলো ‘গুম খুন’ হওয়া বেলুচ বিদ্রোহীদের। সূত্র : এএনআই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।