গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া, ঢাকা গতকাল শনিবার ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী (সা:) উৎযাপন করে। এ উপলক্ষে সকাল ৮টায় হাজার হাজার মুসলিম/রাসূল (সা:) প্রেমিক আশেকানগণের অংশগ্রহণে ঢাকা মহানগরীর মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ হতে এক আজিমুশ্বান জুলুছ (ধর্মীয় র্যালি) বের হয়। জুলুছ আওরঙ্গজেব রোড হয়ে আসাদ গেট, মোহাম্মদপুর, সাতমসজিদ, শিয়া মসজিদ, রিং রোড, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। জুলুছ (ধর্মীয় র্যালি) মোহাম্মদপুরস্থ কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসা ময়দানে পৌঁছে এক নূরানী মাহফিলে মিলিত হয়। উক্ত জুলুছ (র্যালি) ও মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন পীর-এ কামেল হযরতুল আল্লামা আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মা:জি:আ:), মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহেবজাদাদ্বয় হুজুর কেবলা হযরতুল আল্লামা আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাশেম শাহ, (মা:জি:আ:) এবং হযরতুল আল্লামা আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহমেদ শাহ (মা:জি:আ:)। আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি আলহাজ মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ মুহাম্মদ সিরাজুল হক, ঢাকা আঞ্জুমানের চেয়ারম্যান আলহাজ মো: আশরাফ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মো: শহীদ উল্লাহ, আলাহাজ মো: নুরুল ইসলাম রতন, সেক্রেটারি আলহাজ মো: সিরাজুল হক, ট্রেজারার আলহাজ আমির হোসেন, সহ-ট্রেজারার হাজী শোয়েবুজ্জামান চৌধুরী তুহিন, সদস্য মো: শাহ হোসেন ইকবাল, হাজী নুরুল আমিন, ঢাকা মহানগর গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ রহমত আলী, সেক্রেটারি আলহাজ মো: আবদুল মালেক বুলবুলসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা আঞ্জুমানের নেতৃবৃন্দ।
মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আঞ্জুমানের সেক্রেটারি আলহাজ মো: সিরাজুল হক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ মুহাম্মদ মহসিন। মাহফিলে বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া আলিয়া (কামিল) মাদরাসার অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল আলীম রিজভীসহ দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ। মাহফিল পরিচালনা করেন উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক।
মাহফিলে ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, রাসূলকে (সা:) সৃষ্টি, সকল সৃষ্টিকুলের জন্য আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় নেয়ামত। এ বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ বলেন, আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না (আল হাদিস)। হে মাহবুব আপনি বলুন আল্লাহর রহমত ও করুণাপ্রাপ্তির কারণে বান্দারা যেন খুশি উদযাপন করে। এটা তাদের সকল সঞ্চিত এবাদত হতেও উত্তম। আবু লাহাব নবীর (সা:) জন্মের সংবাদ শুনে দাসী শোহাইবাকে মুক্তি দেয়ার কারণে নবীর (সা:) জন্মদিন হিসেবে প্রতি সোমবার ভয়াবহ শাস্তি হতে কিছুটা পরিত্রাণ পায়। তাহলে আমরা কেন এ মহান নেয়ামত হতে বঞ্চিত হবো। আমরা যদি রবিউল আউয়াল মাসে নবীজীর (সা:) সম্মানে জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) পালন করি, তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও নেয়ামতপ্রাপ্ত হবো। এদিনে শরীয়তসম্মতভাবে খুশি উদযাপনে যে কোনো জাঁকজমক কর্মসূচি পালন করা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক উত্তম উছিলা। মাহফিলে বক্তারা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে জশনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানান।
মাহফিলের পর খতমে গাউসিয়া শরীফ ও মিলাদ শরীফ শেষে দোয়া ও মুনাজাত করেন হযরতুল আল্লামা আলহাজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী)।
আজ আল্লামা তাহের শাহ্ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (ম.জি.আ.), শাহাজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ ও শাহাজাদা আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ আহমদ শাহ্ গতকাল ঢাকায় পবিত্র জশ্নে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.)’র জুলুস ও মাহফিল শেষ করে আজ রোববার হেলিকপ্টারযোগে পুনরায় চট্টগ্রাম আসছেন। হুজুর কেবলায়ে আলম ও শাহাজাদা হুজুরদ্বয়ের অংশগ্রহণে বাদ নামাজে মাগরিব হতে এশা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকা-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পবিত্র গেয়ারভী শরীফ অনুষ্ঠিত হবে এবং আগামীকাল সোমবার হুজুরের ইমামতিতে আলমগীর খানকায় নামাজে ফজর, যোহর, আছর, মাগরিব ও এশা অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।