চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসিক মদীনা সম্পাদক ফখরে মিল্লাত আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রহ. ও ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাও. সৈয়দ মুস্তাকিম আলী রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাও. উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন পাশ্চাত্য সভ্যতা ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেওবন্দের আলিম উলামারা যে ব্যানারে কাজ করে গেছেন সে ব্যানারের নাম হলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনই ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করে।
জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম সৈয়দপুর বাজারে অনুষ্ঠিত মাও. সিদ্দিক আহমদ হাসনুর সভাপতিত্বে মাও. রশিদ আহমদ-এর উপস্থাপনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আব্দুর রব ইফসুফি, মাও. নুরুল ইসলাম খান, এড. শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাও. তাফাজ্জুল হক আজীজ, মাও. শায়খ আব্দুল বাছির, মাসিক মদীনা সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান, হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদ, ছাত্রনেতা মুফতি নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য
শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এ দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। দেশের ঈমানদার তওহীদি ছাত্র-জনতা যে কোনো মূল্যে এই ইসলাম বিনাশী, নাস্তিক্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুর রহীম সাঈদের সভাপতিত্বে ও খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. নেয়ামতুল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র মুহাম্মাদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাদির, ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়কারী আবদুর রহমান, ইসলামী ছাত্র খেলাফত বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবুল হাশিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের মহাসচিব মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, ছাত্র ঐক্যের অর্থ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান সানী, ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম, খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ইসলামী ছাত্র খেলাফত-এর কেন্দ্রীয় নেতা মো. তকদির হোসেন, ইসলামী ছাত্রসামজের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহমুদুল হাসানসহ প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এদেশের ঈমানদার মানুষকে বেঈমান বানানোর চক্রান্ত করছে। সেই সাথে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাঠ্যসূচি পড়ানো হচ্ছে।
আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী, হযরত ওমর (রা.)-এর জীবনী, আবু বকর (রা.) জীবনী। ছিল যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক লেখকদের কবিতা, প্রবন্ধ। কিন্তু সরকার কিছু নাস্তিক ও হিন্দুয়ানী ভাবধারার ব্যক্তিদের দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ছাত্র ঐক্যের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে হলেও এই ধর্মহীন শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত পাঠ্যসূচি সংশোধন করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন. মানুষের ভিতর আত্মশুদ্ধি বা আল্লাহর ভয় না থাকায় মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলছে। আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমেই জননিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। রাসূল (সা.)-এর চরিত্রের অনুসরণ ও অনুকরণ না থাকায় হিংসা-বিদ্বেষের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাই হচ্ছে মানুষ। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ে জর্জরিত জাতিকে বাঁচাতে হলে রাসূল (সা.)-এর অনুপম আদর্শের রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরিয়ে আনতে হলে ইসলামী অনুশাসনের বিকল্প নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।